মঈন উদ্দিন খান মাহিন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট | 402 বার পঠিত
ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড দর্শা গ্রামের স্থানীয় এই রাস্তার বেহাল দশা।এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। অল্প বৃষ্টিতেই বিভিন্ন জায়গায় হাটু পর্যন্ত কাঁদা জমে যায়। মানুষ পায়ে হেটে চলাফেরার জন্য অতিষ্ঠ হচ্ছে।
স্থানীয় নাগরিকরা বলেন “আমাদের দর্শা প্রায় নির্বাচন এর সময় স্থানীয় নেতারা আইসা বলে আমি যদি এইবার নির্বাচনে জয়ী হয় তাহলে এই রাস্তা আমার জন্য বেপার না আমার নিজের অর্থ থেকে আমি এই রাস্তা পাকা করন করে দিমু। এই কথা টা তখনি বলে যখন নির্বাচন আসে”
ধোবাউড়া থানার বিভিন্ন গ্রামে সকল ধরনের রাস্তা পাকা হয়েছে তবে সদর ইউনিয়ন এর একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি যা কারোর দৃষ্টি গোছর হয়না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এলাকাবাসী আরো জানান , একজন কৃষক এক মন ধান বাজারে নিলে যেই জায়গায় (২০) টাকা মন দেওয়া হতো। আজ রাস্তা না থাকার কারণে (৫০—-৭০) টাকা মন দিতে হয়। তার পরেও একটু হালকা বৃষ্টি হলে আর কোন গাড়ী ও চলে না। একটা জরুরি রোগী কে যেই জায়গায় অটো তে করে নিতে হয় সেই রোগী কে নিতে হয় ঠেলা গাড়ীতে করে। অনেক রোগী কে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না নিতে পারাই অনেক রোগী রাস্তায় মারা যায়।
স্থানীয় সাংসদ সদস্য মিষ্টার জুয়েল আরেংর পিতা এডভোকেট প্রমোদ মানকিন যিনি মৃত্যুর আগে কথা দিয়েছিল এই গ্রামের রাস্তাটি পাকাকরণ করে দিবেন, তবে তার মৃত্যুর পর আর কোন খোঁজ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব ডেভিড রানা চিসিমের কাছে স্থানীয়রা আকুল আবেদন করেছেন রাস্তাটি মেরামত করার জন্য
উল্লেখ্য দর্শার এই সড়কটি প্রায় (৪৩) বছর আগে মফিজ চেয়ারম্যান এর আমলে করা হয়েছিল।
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় এই ১০/ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। সেগুলো হল
১/ দর্শা গ্রাম
২/ চরের ভিটা
৩/পুটিয়ার কান্দা
৪/দর্শা শেখ বাজার
৫/ জিরালি গ্রামের মানুষ
৬/জোকা
৭/ভাতুড়ি
৮/তালতলি বাজার
৯/ গজারিয়া
১০/ চনাটিয়া
যাদের দুর্দশার কথা কেউ বলেনা।
Posted ২:২৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com