আসাদুজ্জামান তালুকদার, নেত্রকোণা থেকে | রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 252 বার পঠিত
নেত্রকোণা জেলা শহরের চকপাড়াস্থ মহাশ্মশানে অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত লাকড়ির দাম বেশী রাখার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী নেত্রকোণা পৌরশহরের এক বাসিন্দা জানান, রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে এক হিন্দু যুবকের লাশ নেওয়া হয় নেত্রকোণা মহাশ্মশানে।
এসময় শ্মশানের মূল গেইটের সামনে থাকা রমজানের মুদী দোকান থেকে ৬ মণ লাকড়ি (জারই, বদ্দিরাজ, আম, কাঁঠাল, মেহগনি বিভিন্ন কাঠের মিশ্রিত জ্বালানী কাঠ) কিনতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা নিহতের স্বজনদের। কারন হিসেবে তারা জানান, মুদী দোকানী রমজানের (দোকানটি রমজানের মুদী দোকান হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে তার সন্তান রুবেল মিয়া দোকানটি পরিচালনা করেন) এখানে ৬ শত টাকা মণ যে লাকড়ি বিক্রি করা হচ্ছে সেসব লাকড়ির বাজারদর ৩০০-৩৫০ টাকা।
এব্যাপারে দোকানী রুবেল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে দাবি করে তাদের এখানের লাকড়ী এদামেই কিনতে হয়।
বাজারদরের প্রায় দিগুণ দামে এসব লাকড়ী অনেকটা বাধ্য হয়েই কিনতে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা মৃতের আত্মীয় স্বজনদের। এমনকি অনেকেই এসব বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন। মৃতদের স্বজনদের অনেকেই অপারগ হয়ে প্রায় দিগুণ দামে এসব লাকড়ী কিনতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন।
দূরদূরান্ত থেকে আসা অসহায় মানুষদের পাশে আরো মানবিক হবে এধরণের স্থানগুলো, পাশাপাশি মৃতের স্বজনদের ভোগান্তি রোধে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করেন এখানে আসা মৃতের স্বজনরা।
সর্বোপরি স্থানীয় সরকারি দপ্তরগুলোর সার্বক্ষণিক সেবা এখানে আরো সহজলভ্য ও কঠোর নজরদারির আওতায় আনাও জরুরী বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
Posted ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com