নাসির উদ্দীন,বেনাপোল প্রতিনিধি | সোমবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 216 বার পঠিত
পৌষের শেষ মুহুর্তে যশোরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েকদিনের কনকনে শীতের ফলে জবুথবুর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সারা দিনটাই যশোরের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতে কাহিল এ অঞ্চলের মানুষ ও প্রাণিকূল। তীব্র শীতের সঙ্গে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতে ও ভোরে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকছে। সেইসাথে বয়ে যাচ্ছে উত্তরের হিমেল বাতাস।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, গড় তাপমাত্রা বিবেচনায় বছরের সবচেয়ে শীতল মাস হচ্ছে জানুয়ারি। এরপরই শীতের তারতম্যে ডিসেম্বর মাসের অবস্থান। এবারের জানুয়ারি মাস বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাসে পৌছে গেছে। এর আগে কোন মাসেই এতো বেশি শীত যশোরাঞ্চলে পড়েনি বলে আবহাওয়া অফিস বলছে।
তীব্র শীতের কারণে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর শহরে মানুষের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। যশোরের আবহাওয়া অফিস বলছে, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা কমবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপট কমাতে পারবে না। আগামী বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশে মেঘ জমতে পারে।
এদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে চলতে পারে দুই থেকে তিন দিন। এরপর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কিছুটা বাড়বে। তখন দিনে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমে আসবে। তবে রাতে শীতের তীব্রতা এখনকার মতোই থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা সারা দেশে কুয়াশার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে গত ডিসেম্বর মাসজুড়ে থাকা বাড়তি তাপমাত্রাকে দায়ী করছেন। ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিলো। জানুয়ারিতে এসে তাপমাত্রা হঠাৎ ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়েছে। কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ভূমিতে কম আসতে পারায় শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। গত তিন-চার দিনে দেশের অনেক এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে যশোরাঞ্চলে। ঘন কুয়াশা ও বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কমে গেছে। যশোরে সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে এ শীতে গরীব মানুষের কষ্টের কোন সীমা থাকছে না। তারা শীতের কষ্টে কাহিল হয়েই রাতদিন পার করছেন।
Posted ২:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com