মোঃ সিরাজুল মনির কক্সবাজার থেকে ফিরে | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 247 বার পঠিত
উপজেলার আলী আকবর ডেইল দিনমজুর শামসুল ইসলাম প্রায় আট মাস আগে তার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত জায়গার নামজারি খতিয়ান করার জন্য সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেদোয়ান মোস্তফার কাছে সরকারিভাবে নামজারি খতিয়ানের মূল্য বাবদ ১২৫০ টাকা হলেও রেদোয়ান শামসুল ইসলাম এর কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে খতিয়ান করে দেয়ার নাম করে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার খতিয়ান সম্পাদন করে দেয়নি ঘুষখোর রেদোয়ান মোস্তফা । শামসুল ইসলাম খতিয়ানের কাজ সম্পাদনার কথা বললে তাকে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দিতে থাকে উক্ত ভূমি কর্মকর্তা ও তার দালাল বাহিনী।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায় ভূমি কর্মকর্তা রেদোয়ান মোস্তফার বাড়ি উপজেলার আলী আকবর ডেল গ্রামে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার কুকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে এলাকা ছাড়া হতে হয় সে বিভিন্ন প্রকারের মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবাদকারীকে এলাকা ছাড়া করে । প্রতিদিন উক্ত ভূমি অফিসে কয়েক লক্ষ টাকার অবৈধ লেনদেন করে ভূমি কর্মকর্তারা রেদোয়ান মোস্তফা। লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করলেও তা সঠিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা না করে সিংহভাগ টাকা রেদওয়ান মোস্তফা আত্মসাৎ করে ।
জানা যায় সরকারি খাজনার অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করে উক্ত ভূমি কর্মকর্তা । জায়গার খাজনা দিতে আসা স্থানীয় রমিজ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানাই খাজনা বাবদ তার কাছ থেকে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেদোয়ান মোস্তফা ৩৬ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু তাকে রশিদ দিয়েছে ১১ হাজার টাকার । এভাবে বড়ঘোপ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা জানান সরকারি খাজনা আদায়ের নাম করে ভূমি কর্মকর্তা রেদোয়ান মোস্তফা অবৈধ টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে যারা তার ধার্যকৃত খাজনা পরিশোধ করতে পারবেনা তাদের পরিবারের সুন্দরী মেয়েদেরকে কুপ্রস্তাব দেয় এ কর্মকর্তা । ভয়ংকর নারী লোভী এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবত এই অফিসে কর্মরত থাকার কারণে এবং স্থানীয় শরিফ নামের এক সন্ত্রাসের সমন্বয়ে কুতুবদিয়ার পুরো উপজেলায় তাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে । নামে সে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হলেও পুরো উপজেলার খাজনা আদায়ের কর্মকাণ্ড সে পরিচালনা করে । উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বা ভূমি অফিসের অন্য কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না ।
সূত্র জানায় কুতুবদিয়া উপজেলার মরালিয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র আবু মুসা এবং মুসার চাচা স্থানীয় মৌলভী আব্দুল মান্নানএর থেকে ক্রয় কৃত ৬ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রাখে তার চাচাতো ভাই মঞ্জুর । দখলকৃত জায়গার উদ্ধারের জন্য ভুক্তভোগীরা স্থানীয় উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করলে তার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বড়ঘোপ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রেদোয়ান মোস্তফা কে দায়িত্ব দিলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এখনো পর্যন্ত সেই প্রতিবেদন দাখিল করেনি ।
রেদোয়ান মোস্তফার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন স্থানীয় জাকারিয়া নামের এক ব্যক্তি । ৫৬৭ নম্বর ডকেট মূলে সেই অভিযোগ এখন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক অফিসে রয়েছে ।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জানায় উক্ত ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুতুবদিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জজ মিত্র জানাই অভিযোগ পেলে উক্ত ভূমি কর্মকর্তা রেদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
Posted ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com