মোঃ ইমরান হোসেন বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 165 বার পঠিত
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি কৃষির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কৃষির উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। আর সে উন্নয়ন অভিযাত্রায় বালাইয়ের আক্রমণ ও ক্ষতি মুক্ত কৃষিই আমাদের কাঙ্খিত। রোগ পোকামাকড় দমনে রাসায়নিক দমন পদ্ধতি ব্যবহারের চেয়ে জৈবিক দমন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব এবং গ্রহণযোগ্য। অনেক জৈবিক দমন পদ্ধতির মধ্যে পার্চিং ও আলোর ফাঁদ আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। বিষয় দুইটির গুরুত্ব অনুধাবন করে কৃষি মন্ত্রণালয় তার সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সারা দেশে পরিবেশবান্ধব এ দুইটি পদ্ধতির সম্প্রসারণকল্পে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ধান উৎপাদনে পার্চিং এবং আলোর ফাঁদ বেশ কার্যকর এবং লাভজনক। বিশেষ করে বোরো মৌসুমে এ দুইটি কৌশল সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে নির্বিঘ্নে বোরো উৎপাদনে সুবিধা পাওয়া যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বটিয়াঘাটার আয়োজনে বোরো ধানের পোকা দমনে শুক্রবার পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের সুখদাড়া গ্রামে কৃষক-কৃষাণীদের উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সমপ্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শরিফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ধ্র“ব জ্যোতি সরকার। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান বলেন, পার্চিং প্রযুক্তি হলো পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। পার্চিংয়ে বসে একটি ফিঙ্গে সারাদিনে অন্তত ৩০ টি করে পোকা, মথ, ডিম, কীড়া ও পুত্তলি খেয়ে ফেলে। এতে কৃষক লাভবান হয় ও ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, পার্চিং-এর উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহার না করে কৃষকের খরচ কমিয়ে দেওয়ার একটি প্রযুক্তি যা বোরো ধানের মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি পোকা, শীষ কাটা লেদা পোকা, লম্বা ও খাটো শুড় ফড়িং, উড়চুঙ্গাসহ অনেক ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলে। তাই কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পার্চিংয়ের কোন বিকল্প নেই।
Posted ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com