শনিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পুলিশের সোর্সের দৌরাত্ম্য,আতংকিত বাকলিয়া- চাক্তাই,ব্রিজ এলাকার মানুষ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি   |   সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   122 বার পঠিত

পুলিশের সোর্সের দৌরাত্ম্য,আতংকিত বাকলিয়া- চাক্তাই,ব্রিজ এলাকার মানুষ

বিভিন্ন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি,ইভটিজিং,হয়রানিসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটেছে।এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নেতৃত্বে থাকে সোর্স আর পেছনে পুলিশ। সাধারণত অপরাধী সনাক্ত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজেই সোর্সের সহযোগিতা নিয়ে থাকে পুলিশ।তবে বেশ কিছু ঘটনায় পেশাগত কাজের বাইরে সোর্সদের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের ঘটনায় ফেঁসে যায় পুলিশ সদস্যরা।

সম্প্রতি পুলিশ-সোর্সের সম্পর্ক বেশ দূরত্ব। সোর্সরাও গা ঢাকা দিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নতুন ব্রীজ মোড়ে(বশিরুজ্জামান চত্বর)দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে মিনহাজ প্রকাশ (ছোট মিনহাজ)। নোমান কলেজের ছাত্র নেতা নামধারী তথাকথিত এক নেতা পরিচয় দানকারী মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজের ছত্রছায়ায় ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে মিনহাজ( ছোট মিনহাজ)।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ নতুন ব্রিজ,চাক্তাই ব্রিজ ও বাস্তহারাসহ আশেপাশে লোকজন।মিনহাজ(প্রকাশ ছোট মিনহাজ) সিএমপির বাকলিয়া থানা, চাক্তাই পুলিশ ফাঁডির এক এস আই ও একাধিক পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।মিনহাজ নিজেকে পুলিশের একান্ত কাছের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকায় বসায় জুয়ার আসর।এই সোর্স আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি,বাস ষ্টেশনে মোবাইল ছিনতাই সহ জুয়ার আসর বসায়।পুলিশের এই কথিত সোর্সের দৃশ্যমান কোন ব্যবসা না থাকলেও চলাফেরা করে রাজ পুত্ররের মত। তার রয়েছে একটি সাদা কালারের এপারসি (মোটরসাইকেল) যার নং:১৩,১৩৪৮।কথিত এই সোর্সের রয়েছে একাধিক কিশোর গ্যাং তাদের দিয়ে মোবাইল ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম করে থাকে বলে জানা যায়।পুলিশের এই কথিত সোর্সের পকেটে থাকে হেন্ডক্যাপও যা অপরাধ যোগ্য কিন্ত এই হ্যান্ডক্যাপ কোথায় পায় তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ? মিনহাজ পুলিশের এই কথিত সোর্স নিরীহ লোকজনকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় সহ চাঁদাবাজি, ইভটিজিং,হয়রানি ও নানা অপকর্ম করে আসছে এলাকায়। তার অপকর্মের কিছু ডকুমেন্টস রয়েছে এই প্রতিবেদককের কাছে।

এসব অপকর্মের নেপথ্যে বাকলিয়া থানার একাধিক পুলিশ সদস্য।মামলার ভয় দেখিয়ে,কিংবা থানা থেকে আসামীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার তদবির করে এই সোর্স মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।অথচ পুলিশের সোর্স রাখার কোনও বিধান আইনের কোথাও নেই। ফৌজদারি কার্যবিধি কিংবা পুলিশের পিআরবি’র (পুলিশ রেগুলেশন অব বাংলাদেশ) কোথাও পুলিশের সোর্স রাখা বা পালনের বিষয়টিও উল্লেখ করা নেই।

পুলিশ সূত্রে জানায়, আসামি ধরা ও অপরাধীদের স্পট খুঁজতে ব্যক্তিগতভাবে সোর্সের সহযোগিতা নিতে পারে।তবে থানায় সোর্সের আনাগোনাও রাখা যাবে না এমনটাই নির্দেশনা ছিল পুলিশ সদর দফতর থেকে।পুলিশ মহাপরিদর্শক দায়িত্ব নেয়ার পরেই বলেছিলেন যে থানার সামনে সোর্সের আনাগোনা দেখা যাবে সেই থানা ওসির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।তবে সে কথার হাল আমলে ব্যাত্যয় ঘটেছে।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আফতাব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান পরিচালনা চলছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত কোন তথ্য বা অভিযোগ আসেনি। যেহেতু আপনি বলেছেন এ বিষয়টা আমরা গভীরভাবে দেখব। আরও বলেন, পুলিশের সোর্স পরিচয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, বিষয়টি কারো দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।,মাদক, কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

Facebook Comments Box

Posted ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com