বৃহস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভূরুঙ্গামারীতে সীমান্ত দিয়ে অবাধে ঢুকছে ভারতীয় গরুর মাংস, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে স্থানীয়রা

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ   |   সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   375 বার পঠিত

ভূরুঙ্গামারীতে সীমান্ত দিয়ে অবাধে ঢুকছে ভারতীয় গরুর মাংস, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে স্থানীয়রা

তিন দিক থেকে ভারত বেষ্টিত উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাদে ঢুকছে ভারতীয় গরুর মাংস। সীমান্তের ওপারে জবাই করা এসব গরু মরা না কি অসুস্থ সেটা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও গ্রাম গন্জের বিভিন্ন হাট বাজারে অহরহ মিলছে ভারতীয় গরুর মাংস। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ভোটহাট, পাথরডুবী, বাঁশজানি ও শিলখুড়ী সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতে জবাই করা গরুর মাংস বাংলাদেশে ঢুকছে। আর তা কয়েক হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয়। মাংস তাজা রাখতে রাসায়নিক মিশিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে একটি চক্র। বাইসাইকেলে ঘুরে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে এসব মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি গরুর মাংস যেখানে বিক্রি হয় ৭০০ টাকা কেজি। সেখানে প্রতি কেজি ভারতীয় গরুর মাংসের দাম রাখা হয় ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। গরুর সাথে ঘোড়ার মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সীমান্তের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয়রা।
গত বৃহস্পতিবার ( ২৯ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন জামতলা মোড়ে আশরাফুল নামের এক যুবক বাইসাইকেল যোগে বাজার ব‍্যাগে পলিথিনের পোটলায় ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি করার সময় স্হানীয়রা তাকে আটক করে । পরে তাকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করে। ওই যুবক সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের সাগর আলীর ছেলে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আমিনুল, বাশার ও সৈকত মাহমুদ জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপারের সময় কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন ওই সব গরু জবাই করা হয়। কোন রুপ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সুস্থতার সনদ ছাড়াই এসব জবাই করা গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন রোগ বালাই বাড়ছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্হ‍্য কমপ্লেক্সের সেনেটাটারী ইনসপেক্টর আবু বক্বর সিদ্দিক বলেন বিষয়টি প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কাজ। তবে আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
বিজিবির বাগভান্ডার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন্জুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জেনে ব‍্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা আক্তার জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com