সাগর হোসাইন, বদলগাঁছী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ | বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 194 বার পঠিত
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীতে পানি কমে যাবার সাথে সাথেই নিষিদ্ধ চায়না বা দুই দুয়ারী জাল দিয়ে অবাধে চলছে দেশীয় মৎস্য শিকার। শুধু চায়না বা দুই দুয়ারী জাল নয় সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে কারেন্ট জালও। এভাবে নদী,খাল বিলে অবৈধ জাল দিয়ে মৎস্য শিকার করলে বিলুপ্ত হবে সকল প্রকার দেশীয় প্রজাতির সকল মাছ এবং জলজ প্রাণী। বর্তমানে পানি কমে যাওয়ায় নদী,বিলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মৎস্য শিকার করলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন তদারকি নেই বললেই চলে।
সরেজমিনে বদলগাছী উপজেলার বদলগাছী সদর ইউনিয়ন,আধাইপুর ইউনিয়ন,মথরাপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় এলাকার মৎস্যজীবী লোকজন সন্ধ্যার পূর্বে ছোট যমুনা নদীর বিভিন্ন যায়গায় দিনে এবং বিশেষ করে রাতে নদীর এপার থেকে উপার পর্যন্ত এই চায়না বা দুই দুয়ারী জাল সহ কারেন্ট জাল ফেলানো হয়। এসব জালে শুধু ছোট,বড় মাছ নয় মাছের রেনু পোনা, ডিম বিভিন্ন জলজ প্রাণীও ধরা পড়ে। এতে নদীর দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
শ্রী কৃঞ্চপুর গ্রামের জাহিদ বলেন, জেলেরা সারা বছরই যমুনা নদীর গোরান দহ এলাকায় দুয়ারি জাল ব্যবহার করে মৎস্য শিকার করে। এ জালে মাছ শিকারের ফলে মাছ,মাছের পোনা,মাছের ডিমও জলজপ্রাণীর ক্ষতি হয়। এতে এক সময় দেশীয় মাছ শুন্য হয়ে পড়বে নদী।চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে প্রশাসনের অভিযানের দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন,চায়না বা দুয়ারি জাল এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মৎস্য শিকার এটি একটি অপরাধ। এই জালের ব্যবহার মৎস্য সম্পদ, জলজ প্রাণী, জীব-বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়। যারা এই অবৈধ জাল আমদানি করছে এবং বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন
স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বললে তারা জানান, চায়না বি চায়না দুয়ারি জালেতে সব ধরনের মাছ ছেঁকে ওঠে, সহজেই মাছ ধরা যায় এবং দাম কম হওয়ায় বেশিরভাগ জেলে বর্তমানে এ জাল ব্যবহার করছেন।আমাদের জেলেদের মধ্যে যারা পুরোনো কৌশলে মাছ ধরতেন তাদের বর্তমানে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে চায়না দুয়ারি কিনছেন জীবিকা নির্বাহের জন্য।
মথরাপুর গ্রামের জালাল বলেন, বিকেল হতেই এই চায়না বা দুই দুয়ারী জাল নদীতে ফেলা হয়। সারা রাত নদীতে রাখার পর খুব ভোড়ে তুলে আনা হয় পাড়ে।
এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় সব মাছ, নদীতে থাকা জলজ প্রাণী এমনকি ছেঁকে ওঠে মাছের ডিমও। এ জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছুদিন পর হয়তো নদীতে আর কোনো দেশীয় মাছ পাওয়াই কঠিন হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আধাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম পল্টন বলেন, আমাদের সকলকে দেশীয় মাছ রক্ষার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নিষিদ্ধ চায়না জাল,করেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। তবে দেশীয় মাছ রক্ষা পাবে।
বদলগাছী উপজেলা মৎস্য অফিসার রাফিয়া আফরিন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দুইটি অভিযান পরিচালনা করেছি। আমি ট্রেনিংয়ে যাব। অফিসের চার্জ নওগাঁ উপজেলা মৎস্য অফিসারকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কনা মন্ডল বলেন, এ বিষয়টি উপজেলা মৎস্য অফিসার তদারকি করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি না করলে আমাকে জানালে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তারপরও বিষয়টি আমি দেখছি।
Posted ৩:৪৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com