মো.সাইদুল ইসলাম (মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি: | বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 121 বার পঠিত
চলছে চৈত্র মাস। এখনো বৃষ্টির দেখা মেলেনি। শীত শেষ হতে না হতেই হঠাৎ প্রখর রোদ। আর এ রোদে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল, জলাশয় ও নিচু জমিতে থাকা পানি। ফলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চলছে মাছ ধরার ধুম। বিশেষ করে রাস্তার ধারে জলাশয়গুলোতে দেখা যাচ্ছে মাছ ধরার দৃশ্য।
ছোট-বড় সবাই মিলে শুকিয়ে যাওয়া খাল-বিল, জলাশয় ও জমি থেকে ধরছেন দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। ডমকী দিয়ে পানি সেচের পর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাছ ধরা হচ্ছে। বেশিরভাগই ধরা পড়ছে ছোট ও ডিম ওয়ালা দেশি মাছ। বড় মাছ খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না।
কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মাদারীবন এলাকায় রাস্তার পাশে দেখা যায়, শুকিয়ে যাওয়া ক্ষেতের জমি ও খাল পুরুষ ও শিশুরা ডমকি দিয়ে জাল নিয়ে মাছ ধরছেন। কেউবা কাদার মধ্য থেকে মাছ ধরছেন। কেউবা আবাদি জমির ধারে খাদের পানিতে জড় হওয়া মাছ ধরছেন।
শৌখিন মাছ শিকারী আলাল মিয়া বলেন, ‘পানি সেচের পর সকাল থেকে মাছ ধরতে শুরু করেছি। পুঁটি, মলা ও টাকি, টেংরা,কই, মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে ডোবায় পানি জমেছিল। এখন পানি প্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ ধরছি। চার-পাঁচ কেজির মতো মাছ পেয়েছি। এগুলো আবার বাজারে বিক্রির জন্য না। আমার বাড়িতে খাব।’
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো শুকনো মৌসুম। খালে বিলে তেমন পানি নাই। তাই জলাশয়, খালে ও বিলে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। উপজেলার শৌখিন মাছ শিকারিরা বিভিন্ন খালে বিলে মাছ ধরছেন। এতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কিন্তু কিছু কিছু অসৎ জেলে বিষ ও চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করায় দেশীয় মাছের বংশ হুমকির মুখে। বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছি। তার পরেও তাঁরা তা ব্যবহার করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।’
Posted ২:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com