মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 97 বার পঠিত
কৃষি বিপণ অধিদপ্তর বেশ কিছু পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যার মূল লক্ষ্য ছিল বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা । কিন্তু মূল্য নির্ধারণের সপ্তাহ পার হলেও এর কোনো ধরনের প্রভাব নেই বাজারগুলোতে । নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় হচ্ছে কিনা সেটা তদারকিতে নেই কোন অধিদপ্তর । এতে সরকার এবং ব্যবসায়ীদের ইদুর বিড়াল খেলার মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তারা।
ভোক্তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এরমধ্যে রমজানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর লোক দেখানো মূল্য নির্ধারণ করে দায় সেরেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দাম বেঁধে দিলেও পাইকারী বাজার থেকে তারা এই দামে সবজি কিনতে পারছেন না। সাধারণ বিক্রেতাদের অভিযোগ সরকার যদি পাইকারি বাজারে বেঁধে দেয়া দামে পণ্য বিক্রয় করার জন্য বাধ্য করে তাহলে সেটা খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়বে ।
দেখা যায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের গত ১৫ মার্চের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আলু ২৮ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ২৮ টাকা, ফুলকপি ২৯ টাকা, বেগুন ৪৯.৭৫ টাকা, শিম ৪৮ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২৩ টাকায় বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে নগরীর কাঁচা বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০–৪৫ টাকা, বেগুন ৪৫–৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩৫–৪০ টাকা, শিম ৬০ টাকা এবং টমেটো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল বলেন, সকল বাজারে সবজির দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পাইকারী বাজার থেকে সবজি এনে বিক্রি করি। সকল সবজি পচনশীল পণ্য। চাইলেই মজুদ করে রাখা যায় না। আমি পাইকার বাজার থেকে যখন সবজি কিনে আনি, সেগুলো বাছাই করে বিক্রি করতে হয়। কারণ পাইকারী দোকান থেকে আনার পর অনেক সবজি নষ্ট পড়ে। এতে আমাদের কেজিপ্রতি কেনার খরচও বেড়ে যায়। ক্রেতারা প্রতিটি সবজি দেখে দেখে কিনেন। সরকার যদি পাইকারী পর্যায়ে বেঁধে দেয়া দাম নিশ্চিত করে তবে আমরাও সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করতে পারবো।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তালিকায় খুচরা মূল্য হিসেবে গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা, সোনালী মুরগি ২৬২ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা ৪৯ পয়সা, কাতাল মাছ কেজি ৩৫৩ টাকা এবং পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু বাজারে বাস্তবে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০–৯০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০–২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০–৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা কেজি দরে। কাতাল ৩৬০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা এবং মুরগির ডিম ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, সরকার দাম বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেই দাম মানছে না। এতে ভোক্তাদের তো কোনো লাভ হলো না। বেঁধে দেয়া দাম বাস্তবায়ন কেন হচ্ছে না, সেটি তদারকি করা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব। মাঝখানে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তারা
Posted ৭:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com