ঢাকা-চট্টগ্রাম কক্সবাজার লাইনকে লক্ষ্য করে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য তিন মাসের জন্য যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল গত ১ আগস্ট। আট মাস পেরোলেও সেই সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে ঈদে কর্ণফুলী পাড়ি দিতে ফেরিতেই ভরসা রাখতে হচ্ছে বোয়ালখালীবাসীকে। ইতিমধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও তা না হওয়াতে হতাশা এবং ক্ষোভে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছে বোয়ালখালীর জনসাধারণ ।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতু সংস্কার কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস লাগতে পারে। সে হিসাবে আগামী জুনের আগে কালুরঘাট সেতু দিয়ে যান চলাচলের সম্ভাবনা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে কর্তৃপক্ষ বলেন যান চলাচল ও সাধারণ পথচারীদের কথা চিন্তা করে কাজের মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। ওয়াকওয়ের কাজ হবে, সেখানে ঢালায় হবে। পানি যাতে না জমে, সেজন্য ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজও চলছে। সব মিলিয়ে আগামী জুনের মধ্যে সেতু সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল করে। কক্সবাজার পথে রেল চালুর জন্য কালুরঘাট সেতু সংস্কার করে ৩১ অক্টোবর থেকে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৫ নভেম্বর কঙবাজারের পথে রেল চলাচল শুরু হয়। পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছিলেন, মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে সংস্কার কাজ শেষে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
কর্ণফুলীর নদীর ওপারের উপজেলা বোয়ালখালীর অনেকে প্রতিদিন নদী পার হয়ে শহরে আসেন চাকরি বা পেশাগত কারণে। শহর থেকেও অনেকে বোয়ালখালীতে যান নানা কাজে। সেতুর বিকল্প হিসেবে বোয়ালখালী উপজেলার মানুষকে ফেরির মাধ্যমে প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় ফেরির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটা ফেরি চলাচল করে এ সময় চলাচলরত জনসাধারণের দুর্দশা বেড়ে যায় ।
