শুক্রবার ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বরগুনার আমতলীতে সেতু ধসে নিহত ৯ জনের স্বর্নালংকার লুটের অভিযোগ, বিচারের দাবীতে শিবচরে মানববন্ধন

ওয়াহিদ মুরাদ:   |   রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   43 বার পঠিত

বরগুনার আমতলীতে সেতু ধসে নিহত ৯ জনের স্বর্নালংকার লুটের অভিযোগ, বিচারের দাবীতে শিবচরে মানববন্ধন

গত ২২ জুন দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বরগুনার আমতলীতে হলদিয়া হাট সেতু ভেঙ্গে মাদারীপুরের শিবচরের একই পরিবারের ৭ জন নিহতসহ ৯জন নিহত হওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার শিবচর প্রেসক্লাবের সামনে শিবচর বাসীর পক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। এসময় নিহতের পরিবারের দূর্ঘটনার সময় বেঁচে যাওয়া সর্বকনিষ্ট সদস্য সাফরিন (৬মাস) সদস্যসহ পরিবারের অপর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


বিক্ষেভকারীরা ওই দূর্ঘটনার জন্য আমতলীর সেতুর নির্মানের ঠিকাদার, স্থানীয় প্রশাসন ও তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করেন। এছাড়া ওই সময় নারী সদস্যদের সাথে থাকা লুট করে নেয়া স্বর্ণালংকার ফেরত পাওয়ার দাবী জানান। এই ব্যাপারে শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ-আল- মামুন ও শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. মো সেলিম মিয়াসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাহাবুব হোসেন অভিযোগ করে জানান, বরগুনার আমতলীর হলদিয়া হাট সেতুটি মাত্র ১৩ বছর আগে ২ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে এলজিইডি নির্মান করেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি কিভাবে পরিত্যাক্ত হলো? আর পরিত্যাক্তই যদি হয়। তাহলে প্রশাসন কেন যানচলাচলের উপর বাধাঁর সৃষ্টি করেনি। ওই দিন আমরা তো ওই এলাকার মেহমান। ওই সেতুর যে নাজুক অবস্থা ছিল তাতো কেউ জানায় নাই। এমনকি ওই সেতুতে যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন কোন সতর্ক নোটিশও ঝুলানো ছিল না। তিনি বলেন সেতু নির্মানের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তরা আমার পরিবারের ৭ জনসহ ৯জনকে হত্যা করেছে। তাদের অবহেলার কারনে আমার পরিবার আজ নিঃস্ব ও সর্বশান্ত। এমনকি দূর্ঘটনার অনেকেই ভাল মন নিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে। কিন্ত অনেকেই আবার পরিবারের নারী সদস্যদের সাথে থাকা স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলাম বলে আমার মা বোন ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে স্বর্ণালংকার ছিল। তাদের সাথে প্রায় ৬৫ ভরি স্বর্নোলংকার ছিল বলে তিনি দাবী করেন।

স্ত্রী ও মা হারা সোহেল খান বলেন, আমার ৬ মাসের শিশুকে নিয়ে আমি বেঁচে ফিরতে পারলেও ওর মা আমার মা শাশুড়িসহ আমাদের পরিবারের ৭জনসহ ৯জন নিহত হয়। আমার স্ত্রীর প্রায় ৩১-৩২ ভরি স্বর্নালংকার ছিল। যেহেতু বিয়ের অনুষ্ঠান তাই মহিলাদের সবার গায়েই স্বর্নালংকার ছিল আমরা আর তা পাইনি। এমনকি ওইসময় আমতলী থানায় স্বর্ণলংকার লুটের একটি অভিযোগ দেয়া ছিল। কিন্ত আজ পর্যন্ত কোন কিছু জানাতে পারে নাই পুলিশ।

স্ত্রী ও ২ মেয়ে হারানো বাবা ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটি দূর্ঘটনা নয় হত্যাকান্ড। আমার পরিবার বলতে এখন আর কিছু নেই। এর দায় সাবেক সংসদ সদস্য, ঠিকাদার ও এইজিইডি ও প্রশাসনের।

 

Facebook Comments Box

Posted ৫:২৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com