সোমবার ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

দলবদ্ধ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, লালমনিরহাট জেলাবাসী

রুমন হোসেন জিলহজ্ব:   |   বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   44 বার পঠিত

দলবদ্ধ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, লালমনিরহাট জেলাবাসী

পশুপ্রেমীদের দাবির মুখে সারাদেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। কাজটি আপাতদৃষ্টিতে অমানবিক হলেও এক সময় সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভার মালিকহীন নিধন কার্যক্রমের মাধ্যমে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

গত কয়েক মাস যাবৎ জেলায় বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের অত্যাচার বেড়েছে, জানা গেছে সকালে স্কুল গামী ছাত্র/ছাত্রী পথচারী মোটরসাইকেল যাত্রী ও সাইকেল যাত্রীরা পথ চলাচলের সময় হঠাৎই তেড়ে আসে বেওয়ারিশ কুকুরের দল। কাউকে কামড় দিয়ে বসে শুধু তাই নয় শিয়াল ও হায়নার মত গরু ছাগল হাঁস-মুরগি ও গৃহপালিত পশুদের বাহিরে একা পেলেই কুকুরের দলবদ্ধ হয়ে খাবলে ধরে খেয়ে নিচ্ছে।দিনকে দিন এই বেওয়ারিস কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জেলার মানুষ।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার দক্ষিণ গড্ডিমারী নিবাসী ৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক ও আবু বকর সিদ্দিক জানান কয়েকদিন আগে মাঠে ছাগল বাঁধা ছিল, হঠাৎ একদল দলবদ্ধ কুকুর এসে ঘিরে ধরে ছাগলটিকে খাবলে ধরে পরে আশেপাশের এলাকাবাসী লাঠিসোটা নিয়ে উদ্ধার করা হয় ছাগলটিকে, কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ছাগলটি মারা যায় আর হাঁস মুরগির কথা কি বলব প্রতিদিন কারো না কারো হাঁস মুরগি নিয়ে যায় কুকুরের দল এ নিয়ে মহা বিপদে আছি আমরা কোন কিছু পালন করতে পারছি না। এর একটা বিহিত চাই ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

লালমনিরহাট জেলাজুড়ে বিভিন্ন হাটবাজার, গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। কখন বেওয়ারিশ কুকুর কামড় দেয় এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী।

অনেকে মনে করেন, আগে ডাস্টবিনে খাবার পেয়ে খেত কুকুরগুলো। এখন কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেইভাবে কুকুরগুলো খাদ্য পাচ্ছে না। ফলে কুকুরগুলো অভুক্ত হয়ে পড়ে খাদ্যের জন্য মানুষজনকে কামড় দিচ্ছে।

এরফলে জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে ‘র‌্যাবিস ভ্যাকসিন’ গ্রহণ করতে হচ্ছে হাসপাতালে তথ্য অনুযায়ী জানা যায় সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত না থাকায় অনেক মূল্য থাকায় কিনে নিতে হিমসিম খাচ্ছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেলে সাধারণত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো তা নিধন করত।
কিন্তু অমানবিক হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সাল থেকে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ আছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কুকুর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেড়েছে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যাও।

প্রতিটি কুকুর বছরে গড়ে ১২টি করে বাচ্চা দেয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কুকুরের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে কুকুরের অত্যাচার আরও বাড়বে।

তাই কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সাল থেকে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ আছে।

তাই বিকল্প কিছু চিন্তা করতে হবে। যেমন, কুকুর বন্ধ্যাকরণের টিকা দেওয়া। এতে কুকুরের বংশ বিস্তারের সংখ্যা কমবে। এ ছাড়া কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করতে ‘ডগ ভ্যাক্সিনেশন’ বা ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

Facebook Comments Box

Posted ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com