মোঃরাহিজুল ইসলাম: | বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 249 বার পঠিত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে একজন আবেদনকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস ছালাম মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান। তিনি প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ বাদ দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আব্দুস ছালাম মিঞা সহ ১১ জন, নিরাপত্তা কর্মী পদে ৬ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৪ ও নৈশ প্রহরী পদে ৫ জন আবেদন করেন। এই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট ডিজি’র প্রতিনিধি চাওয়া হয়। বিধি মোতাবেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিস পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুনরায় শুধুমাত্র নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
অভিযোগে বলা হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনেক দিন পর তা বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অস্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়। পূবের্র আবেদনকারীরা এতে সুযোগ বঞ্চিত হন। সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাতিজাকে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
অপরদিকে ঈদ-উল-আযহা’র ছুটির পূর্বে তড়িঘড়ি করে পুনরায় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ বাদ দিয়ে অন্যান্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। যা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ঝোলানো হয়নি। এতে পূর্বের আবেদনকারীরাসহ নতুন করে কেউ আবেদন করার সুযোগ পায়নি।
মোটা অঙ্কের অর্থ ও পেশি শক্তির জোরে সহকারী শিক্ষক আব্দুস ছালাম মিঞাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সহ পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মী পদে পূর্ব নির্ধারিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দানের পাঁয়তারা ও বহুল প্রচারিত নয় এমন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া এবং তা গোপন রাখার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেছেন এমন একজনকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। যার নির্ধারিত বয়সসীমা ৩৫ বছর পেরিয়ে গেছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনকারী রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করি। কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে ঈদ উল আযহার ছুটিতে পুনরায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় এতে আমি আবেদন করার সুযোগ পাইনি।
অভিযোগ সম্পর্কে পূর্বের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম মিঞা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে-সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
বিদ্যালয়টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনুর বেগম বলেন, বিধি মোতাবেক নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে আমার সবকিছু করার কথা। অথচ আমি নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানি না। এখন পর্যন্ত নিয়োগের বিষয়ে আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত আলী খান বলেন, প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে এমন ব্যক্তিরা দূরত্বের কারণে এই বিদ্যালয়ে আসতে চান না তাই ওই পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজন প্রীতি করা হয়নি। সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম বলেন, নিয়োগ সম্পন্ন করতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডিজির প্রতিনিধি চাওয়া হলে তা দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com