ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: | মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 42 বার পঠিত
ফরিদপুরে কোতোয়ালি থানায় হামলার ঘটনায় থানায় অবরুদ্ধ পুলিশেরা থানা থেকে বের হওয়ার সময় টিয়ারসেল ও গুলি বর্ষণ করলে কমপক্ষে একজন নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে থানা ছেড়ে পুলিশেরা বেরিয়ে গেলে থানা ভবনে ব্যাপক ভাংচুর ও কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। রিপোর্ট লেখার সময় এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে দুপুরের পর থেকেই ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে হাজারো ছাত্র-জনতা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিজয় উল্লাসে জড়ো হয়। বিকেল ৫টার দিকে সেখানে উপস্থিত একটি দল পাশেই অবস্থিত কোতোয়ালি থানায় হামলার চেষ্টা করে।
এ সময় উপস্থিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা তাদের থানায় হামলা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রায় আধঘণ্টা যাবত চেষ্টা চালায়। তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করেও থানার দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকলে সেখানে অবরুদ্ধ পুলিশেরা টিয়ারশেল ও চাইনিজ রাইফেলের গুলি বর্ষণ করে থানা থেকে বেরিয়ে পুলিশ লাইন্সে চলে যায়।
এ সময় টিয়ারশেল ও মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণে হামলাকারীরাসহ বিজয় উল্লাসে সমবেতরা মুহুর্তের মধ্যে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় থানার সামনে বাদামপট্টি সড়কে একজন মধ্য বয়সী ব্যক্তির চোখ ভেদ করে মাথা দিয়ে গুলি বেরিয়ে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া গুলিতে ছাত্রদল নেতা ভিপি ইউসুফ, বিএনপি নেতা ওবায়দুল কাদেরসহ আরো কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে থানা ছেড়ে বেরিয়ে গেলে কোতোয়ালি থানায় আবারো হামলা করে ভাংচুর ও সেখানে থাকা গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানতে তাকে ফোন দিলেও তিনি সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Posted ৪:০০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com