সরকার পতনের পর দেশে চলমান অস্থিরতায় এই শিক্ষার্থী ও জনতা মিলে মাঠে নেমেছেন ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। প্রথম দিনে অভিযান চালান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ও জনতা। এ সময় জেলা শহরের যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধও করেন তারা। বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চলে এ কর্মসূচি। শহর ঘুরে দেখা যায়, আন্দোলন চলাকালে সড়কে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা দল বেঁধে পরিষ্কার করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শহরের যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধও করেন তারা।
পাশাপাশি যেসব সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই, সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচলে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ করতে দেখা যায় তাদের। শহরের বাস টার্মিনাল মোড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছিলেন বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের শিক্ষার্থীরা মোঃ মোশাররফ হোসেন, আক্তারুজ্জামান আসিফ, মেহেদি হাসান, মেহেদী হাসান অন্তর সহ অনেকেই। পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়ে কথা হয় তীর গাইবান্ধা সরকারী কলেজ শাখার সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মুলত পরিবেশ নিয়ে কাজ করে থাকি,তারই ধারাবাহিকতায় আমরা চাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মতো আমাদের শহরকে গড়তে। তাই আমরা সকলেই এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছি।
লাল সবুজ সোসাইটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি আক্তারুজ্জামান আসিফ বলেন, আমরা চাই সুন্দরভাবে দেশ চলুক। দেশের এ পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের পক্ষে থাকতে চাই। সবাই সচেতন হলে একটি সুন্দর দেশ গঠন করা সহজ হবে। তাই আমরা আমাদের শহরকে পরিচ্ছন্নতা করতে এসেছি পুরো টিম নিয়ে। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘোষণা দিয়েছেন- শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। সেই লক্ষেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।