আনোয়ার হোসেন: | শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 40 বার পঠিত
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে ৮ দিন ধরে গ্রাফিতি এঁকে আসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন বয়সের ছেলে–মেয়েরাও এসব গ্রাফিতি আঁকছেন। রং-তুলি হাতে দেয়ালে দেয়ালে সাম্প্রতিক আন্দোলনের নানা স্লোগান ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁরা।
গ্রাফিতিতে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের গল্প ও আন্দোলন-অভ্যুত্থানের নানা ঘটনা। স্কুল কলেজের ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি ও ক্যালিগ্রাফিতে শিক্ষার্থীরা ফুটিয়ে তুলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অর্জন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, একত্রে অনেক সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিসের দেয়ালে দেয়ালে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে, আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের প্রতি। আঁকা হচ্ছে নৈতিক মূল্যবোধসহ উৎসাহমূলক নানা চিত্র। বিশ্বকে জানানো হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের স্বাগত। বিপ্লবের মুষ্টি ছেড়ে তরুণেরা হাতে তুলে নিয়েছে রং-তুলি। রঙিন করে তুলছে অপরিচ্ছন্ন দেয়ালগুলো।
সচেতন মহল বলছেন, এমন কাজ এর আগে দেখেননি তারা। শিক্ষার্থীরা এমন কাজের জন্য সাধারণ মানুষের প্রশংসায় ভাসছে।
আরাফাত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এসব চিত্রকলার মধ্য দিয়ে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কাজে অংশ নিয়েছি। আমরা দেয়াল সাজানোর মাধ্যমে দেশকে রাঙিয়ে তুলতে চাই।
সুমাইয়া জান্নাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। আমরা এই দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই-আজকের বাংলাদেশ ছাত্র-জনতার অর্জন। কোনো একক দলের শাসনে যেন দেশ না চলে। এই দেশ আমাদের সবার।
অভিভাবক গোলাম রব্বানী মূসা বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারিনি। আমার সন্তানেরা দেখিয়েছে ছাত্র-জনতা এক হয়ে প্রতিবাদ করলে কোনো দুর্নীতি আর একক শাসন দেশে থাকবে না।
এ বিষয়ে নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, গ্রাফিতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শিক্ষার্থীদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে তারা।
তিনি আরও বলেন, এই ছাত্ররাই আমাদের শিখিয়ে দিল কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়। অধিকার আদায় করতে হয়। পুলিশের নলের গুলিতে বুক ঝাঁজরা হয়েছে, শহীদ হয়েছে কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদে পিছু হটেনি এই ছাত্র-জনতা।
Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com