শুক্রবার ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

গোমতীর পানি বাঁধ ছুঁই ছুঁই, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার

নাদিমুল আল তানভীর:   |   বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   31 বার পঠিত

গোমতীর পানি বাঁধ ছুঁই ছুঁই, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার

গোমতীর পানি বাঁধ ছুঁই ছুঁই, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীতে পানি বেড়েই চলছে। নদীর পানি বেড়ে উপজেলা রক্ষা বাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে।

বাঁধটি ভেঙে গেলে বা ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে মুরাদনগর উপজেলার বাইশ ইউনিয়নের প্রায় আট লাখ লোক বন্যায় কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।

তারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বেরিবাঁধ।
গত দুই দিন আগে কয়েক হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধের ভেতর বসবাস করা পাঁচ গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

এ ছাড়া উপজেলার ধামঘর, ভুবনঘর, দিলালপুর, শুশুণ্ডা, শিবানীপুর, গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গোমতী নদী ছাড়াও কাঁকড়ি, ডাকাতিয়া, পাগলি, সালদা নদী দিয়ে ভারত থেকে পানি আসা অব্যাহত রয়েছে। এতে কুমিল্লার পুরো জেলায় বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে।

মুরাদনগর উপজেলা সদরের গোমতী নদীপাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গত মঙ্গলবার রাত (২০ আগস্ট) থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আমাদের ঘরের মধ্যে এখন গলা সমান পানি। আমরা ডি আর হাই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দ্রুতই দুই কূল ছাপিয়ে উঠবে নদীর পানি। গত দুই দশকের মধ্যে নদীটিতে এত পানি দেখা যায়নি।

পানি বাড়ায় নদীর চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এখন বাঁধ রক্ষা করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, গোমতীর কোথাও বাঁধ ভাঙার তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে বিগত সময়ে বাঁধ কেটে ড্রেজারের পাইপ নেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান ভালোভাবে মেরামত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম নদীর তীরে অবস্থান করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নাম মোবাইল নম্বর আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছি।

Facebook Comments Box

Posted ৩:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com