বাউফল পটুয়াখালী প্রতিনিধি: | রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 36 বার পঠিত
পটুয়াখালী বাউফলে সাবেক এমপি, পৌর মেয়র,উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, আওয়ামী যুবলীগ নেতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ২০০/৩০০ জন অজ্ঞাতনামা করে ২৪ আগস্ট শনিবার বাউফল থানায় মামলা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: খলিলুর রহমান।
বাদী খলিলুর রহমান মামলার এজহারে উল্লেখ করে যে, নিম্নোক্ত আসামীদের সাথে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। আসামীরা খুবই উগ্র প্রকৃতির লোক। আমি ও উল্লেখিত স্বাক্ষী বাউফল উপজেলার বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নেতা কর্মী। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ১০/০৩/২০২২ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় বাউফল থানাধীন বাউফল ইউপির গোসিঙ্গা ২নং ওয়ার্ড গোসিঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচের কক্ষে বাউফল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সম্মেলন চলাকালীন সময়ে ১ ও ২নং আসামির আদেশে ও ৫নং আসামীদের নেতৃত্বে এজাহার নামী সকল আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা একত্রিত হয় না, রাম দা, লোহার রড, জিআই পাইপ ও দেশীর অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমাদের সম্মেলনে হামলা করে।
আসামীরা আমাদের সম্মেলন কক্ষে থাকা টেবিল, চেয়ার, মাইক ভাংচুর করিয়া অনুমান ১,০০,০০০ টাকার ক্ষতিসাধন করে। মো: মিরাজের ব্যবহৃত ১টি স্মার্ট মোবাইল ফোন জোর করিয়া নিয়া যায়। যাহার মূল্য অনুমান ২০,০০০ টাকা। ডেকোরেশনের ভাড়া দেওয়ার জন্য আমার (বাদী) পকেটে থাকা ৫০,০০০ টাকা আগামী আরিফ খান নিয়া যায়। আমরা ভবিষ্যতে কোন কোন রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করিলে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে কোন মামলা মোকাদমা করিলে আসামী আমাদের ঘুম করিয়া ফালাইবার হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যান।
আমরা স্থানীয় লোকজনদের সহায়তার গুরুতর আহত অবস্থায় নেতাকর্মীকে উদ্ধার করিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করি। আসামীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের বিভিন্ন পদ পদবিসহ ক্ষমতাধর ব্যাক্তি হওয়ায় আমরা আমাদের জীবনের ভয়ে যথা সময়ে মামলা করতে সাহস পাই নাই। আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হইলে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে পরামর্শ করিয়া এজাহার করিতে বিলম্ব হইলো।
উক্ত মামলায় আসামিরা হলেন সাবেক চীফ হুইপ ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, পৌর মেয়র ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েল , সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহ—সভাপতি মোঃ মোশারেফ হোসেন খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, বাউফল সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম, কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মনির মোল্লা , চন্দ্রদীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলকাছ মোল্লা, দাশপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম মোহন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহামুদ রাহাত জামশেদ, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ খান, মোঃ কোয়েল গাজী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শিপন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির নিশাত, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাহামুদ হাসানসহ মোট ৩৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি খলিলুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় মামলা করতে সাহস পাননি। বর্তমানে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকায় মামলা করেছেন।
Posted ৩:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com