নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 66 বার পঠিত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতি ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে সম্প্রতি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক শিক্ষক হেনস্থার একটি ঘটনার পর। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সাংবাদিক সমিতি তাদের ফেসবুক পেইজে দর্শন বিভাগের শিক্ষক জনাব তারিফুল ইসলাম সম্পর্কে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে।
গত ২১ আগস্ট (বুধবার), সমিতির ফেসবুক পেইজে শিক্ষক তারিফুল ইসলামের একটি ছবি সহ একটি পোস্ট করা হয় যেখানে বলা হয়, “পদত্যাগ করেছেন আলোচিত হাউজ টিউটর”। এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
এরপর, ২৮ আগস্ট (বুধবার) আরেকটি পোস্টে বলা হয়, “এখনো পদত্যাগ করেননি সমালোচিত শিক্ষক জনাব তারিফুল ইসলাম।” এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাইদ “লজ্জা নেই এদের নির্লজ্জ” বলে মন্তব্য করেন।
এই ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এবং তারা সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক সমিতির বিরুদ্ধে সাতটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, কোনো প্রমাণ বা নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়াই এই ধরনের পোস্ট করা হয়েছে, যা শিক্ষকদের সম্মানহানি করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
শিক্ষার্থীরা সমিতির কাছে জানতে চেয়েছেন, জনাব তারিফুল ইসলামকে “সমালোচিত” আখ্যা দেয়ার কারণ এবং তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়ানোর ভিত্তি কী ছিল।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন যে, সাংবাদিক সমিতি তাদের করা সাতটি প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে হবে এবং যদি তা না হয়, তবে সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
শিক্ষার্থী কাউসার হোসেন বলেন, দর্শন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু হলের হাউজ টিউটর জনাব তারিফুল ইসলাম স্যারকে নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও গুঞ্জনভরা খবর প্রকাশিত করা এবং স্যারকে উদ্দ্যেশ করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণ সম্পর্কে জানতে সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে গতকাল রাত থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করতে চাওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা শিক্ষার্থীদের সাথে রাতে আলোচনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে। কিছুক্ষণ পরে সংগঠনের সভাপতির পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের দুইজন প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে আসবে।
রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা রাতে সাক্ষাৎ করতে পারবে না। এবং সমিতির সভাপতি জনাব ফাহাদ বিন সাঈদের পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০ টায় লাইব্রেরি ভবনের ৩ তলায় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান করেন। সেই অনুযায়ী আজ দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করতে গেলে অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করে সকাল সাড়ে এগারোটায় তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা আবারও শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি দেখা করতে স্পষ্টভাবে মানা করে দেয়।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান বলেন, “সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, এবং এর মাধ্যমে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানো উচিত। কিন্তু সাংবাদিক সমিতির এসব পোস্টে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না।”
Posted ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com