রাজশাহী নগরীতে ক্যামেরা বিক্রির নাম করে ১৫হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণার জেরে কথিত সাংবাদিক চপলকে চড়-থাপ্পড়, দিয়েছে একদল গনমাধ্যমকর্মী। রবিবার দুপুরে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তর কোন পত্রিকা ও দৈনিক স্বঃতকন্ঠ পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি সাংবাদিক সৌরভকে একটি সেকেন্ডহ্যান্ড ক্যামেরা বিক্রির কথা বলে প্রতারক চপল। সরল বিশ্বাসে সৌরভ তাকে নগদ ১৫হাজার টাকা দিলেও গত ৪মাসে তাকে ক্যামেরা দেয়নি চপল।
উল্টা নিজেকে সরকার দলীয় সাংবাদিক বলে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। ররিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে নগরীর রেলগেট এলাকায় একটি মানববন্ধন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করার সময় চপলকে সেখানে পাওয়া যায়। কর্মসূচি শেষে সৌরভ তাকে ডেকে পাওনা টাকা ফেরত চায়।
এরই এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে সেখানে থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি শুনে কয়েকজন মিলে চপলকে চড়-থাপ্পড় মারে। এ সময় অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়। সাংবাদিক রাতুল জানায়, সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানীকে কথিত সাংবাদিক উল্লেখ করে চপল একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
কতবড় প্রতারক হলে একটা সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যাচার করা যায়। সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানী গত ২১বছর যাবত সাংবাদিকতা পেশায় আছেন। তিনি দৈনিক বার্তা ও খোলা কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তিনি।
সামান্য তুচ্ছো বিষয়কে কেন্দ্র করে এই প্রতারক চপল লিখেছে অস্ত্র, লোহার জিআই পাইপ, কাঁঠের বাটাম দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারধর করে ছিলাফুলা রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে ৩০/৪০জন সাংবাদিকের উপস্থিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে এই রকম রং লাগিয়ে লিখে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেল এবং চাঁদাবাজি করাই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। যাহা রাজশাহীর মূলধারার সাংবাদিক সমাজের অধিকাংশরাই জানেন।
তাছাড়া চপল যে পত্রিকার কার্ড ঝুলিয়ে বেড়ায়, সেই পত্রিকা সাধারনত চোখে পড়ে না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রিমন রহমান, আরটিভি রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান রকি, বরেন্দ্র টিভি প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন জাহিদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতাল পাঠায় বলে যা উল্লেখ করেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তারা মূলত সবাই রেলগেটেই ছিলো। সে একাই রামেকে গেছে। টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতারক চপল। তার প্রকৃত পরিচয় ও চরিত্র জানতে হলে মোহনপুর চপলের নিজ গ্রামে খোঁজ নিলেই জানা যাবে বলে জানান ভুক্তভোগী সৌরভ।