জাহিন ইসলাম: | শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 64 বার পঠিত
গত ৫ ই আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর এখনো পর্যন্ত সর্বস্তরে একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে ১৭ই জুলাই ছাত্র-ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিগত প্রশাসন। ইতিপূর্বে আওয়ামী সরকার আমলে হল গুলোর প্রতিটি সিট নিয়ন্ত্রিত হত ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা যার দরুন ছাত্র হল সমূহে কোন বৈধ আবাসন ব্যবস্থা দেয়া হয়নি বিগত কয়েক বছর ধরে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট ৯টি ছাত্র হল থাকলেও ২টি হল এখনো একেবারেই অকার্যকর হয়ে আছে, সেগুলো যথাক্রমে অতিশ দ্বীপংকর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। বঙ্গবন্ধু হল ২০১৪ সালে স্থাপিত হলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল হতে চবি’তে ছাত্র হল এলটমেন্ট বন্ধ আছে।
জুলাইয়ের রক্তাক্ত আন্দোলনের সফলতার পর শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাসে ফিরছে তখন দেখা যায় বৈধ অ্যালটমেন্ট না থাকায় এবং হল বন্ধ থাকার কারনে অসংখ্য ছাত্র আবাসন সংকটে ভুগছে।
বর্তমানে ছাত্র হল সমূহে ছেলেদের থাকার সুযোগ না থাকায় আশপাশের কটেজ, মেস, ফ্ল্যাট বাসাগুলোর উপর চাপ বেড়েছে। ফলে বাসা ভাড়া বৃদ্ধির সাথে সাথে আবাসন সংকটও পৌঁছিয়েছে চরমে। অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে পারছে না এ সংকটের ফলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চবির অন্যতম সমন্বয়ক হাবিব উল্লাহ খালেদ বাংলা দৈনিক কে বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো হল লাইফ। হল লাইফ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পরিপূর্ণ হয় না। সুতরাং দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে এবং পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সবাইকে সুযোগ দিয়ে হলগুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তার পাশাপাশি হল সমূহকে পুনর্গঠন করে শিক্ষার্থীবান্ধব পড়াশোনার সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চবির অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহাথির বাংলা দৈনিককে বলেন, ছাত্রলীগ নামক সশস্ত্র সংগঠনটি হল গুলোতে ঘাঁটি গেড়ে পুরো ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ফলে মেধাবী, অসচ্ছল ও দূরদূরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা দীর্ঘদিন আবাসন সুবিধা পায়নি। বিদ্যমান এই আবাসন সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল গুলো সংস্কার পূর্বক বৈধ এলটমেন্ট প্রদান করা এবং নতুন আবাসিক হল নির্মাণ করা নতুন প্রশাসনের কাছে অগ্রাধিকার পাবে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে বাংলা দৈনিক প্রতিনিধিকে চবি শিক্ষার্থী ইয়ামিম আফ্রিদি বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসের আবাসন সংকট ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি দ্রুত ক্যাম্পাস এবং হলগুলো চালু করার মাধ্যমে এ সংকট নিরসন করতে হবে।
এমন অচল অবস্থায় দ্রুত ক্যাম্পাসক হলগুলো চালু না করা গেলে ভয়াবহ আবাসন সংকট পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com