শুক্রবার ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভূরুঙ্গামারীতে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিসহ সীমাহীন দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

মোঃরাহিজুল ইসলাম   |   শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   23 বার পঠিত

ভূরুঙ্গামারীতে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিসহ সীমাহীন দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান এর বিরুদ্ধে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিসহ সীমাহীন নিয়োগ বানিজ্য, স্বেচ্ছাচারীতা ও দূর্নীতি তদন্তের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ ২২ বছর অফিস সহকারি পদে চাকরি করার পর জালিয়াতি করে গত আগস্ট/২৪ মাসে অফিস সহকারি সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে নতুন করে এমপিও ভূক্ত করেন সুপার। অথচ অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে (ইনডেক্স ২৬৯২৩৩২) নিয়োগ পান মোঃ সফিয়ার রহমান এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন।

এদিকে অফিস সহকারি পদ শূন্য দিখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত পদে (এসিও) মোঃ খালেদুজ্জামানকে ( সুপারের আপন ভাগিনা) নিয়োগ দেন। যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ/২৪। তার জন্ম তারিখ ১৫/০২/১৯৭৮ ইং।

সেই হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে যা এমপিও ভুক্তির শর্তকে লঙ্ঘণ করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার সুপার ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে তার আপন ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বিধিমালায় নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হলেও উক্ত ব্যক্তির কোনো নিবন্ধন সনদ নেই।

সুপার অনলাইনে সার্চ দিয়ে একই নামীয় অন্য ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ০১/০৩/২০১৮ ইং তারিখে এমপিওভুক্তি করান এবং তার ইনডেক্স নম্বর (ঘ২১২১৭৮৩)। এদিকে মাদরাসার কর্মচারী মজিবর রহমান গত ০৫/০৮/২০০০ ইং তারিখে এম.এল.এস.এস পদে যোগদান করেন এবং ২৫/১০/২০০১ ইং তারিখে এমপিও ভুক্ত হন।

জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ভুল থাকায় এম.পিও কপিতে বেতন ভাতা আসলেও নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একতরফা সিদ্ধান্তে গত প্রায় ৮ মাস থেকে তা স্থগিত করে রেখেছেন। এছাড়াও উক্ত কর্মচারীর চাকরী জীবনের ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও সুপার উচ্চতর স্কেল থেকে বঞ্চিত রেখেছেন।

এছাড়াও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমান রাষ্ট্রীয় অর্থ হাতিয়ে নেন। স্বেচ্ছাচারীতা এবং স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে শিক্ষক, কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার সময়ে টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে বেতন ভাতা বন্ধ রেখে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করেন।

উক্ত মাদরাসার সুপার মোঃ সাঈদুর রহমান ভূরুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (ইসলাম শিক্ষা) পদেও বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো তদন্ত করা হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com