আফজালুর রহমান আবির: | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 121 বার পঠিত
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতি তার রূপেও পরিবর্তন আনে। উত্তাল বর্ষা শেষে শরৎ আসে শুভ্রতার প্রতীক হয়ে।পরিষ্কার নীল আকাশ আর সাদা কাশফুল শরৎকে দিয়েছে অন্যরকম মাহাত্ম।এজন্যই শরৎকে বলা হয় ‘ঋতুর রানী’।শারদ বিকেলে একগুচ্ছ কাশফুল স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে যায়,হাতের স্পর্শ পৌঁছে যায় হৃদয়ে।
যুগে যুগে শরতের শুভ্র কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।কাশফুলে শুভ্রতা পুলকিত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়।তাই কাশফুলের শুভ্রতায় মেতে উঠেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও আশে পাশের এলাকার দর্শনার্থীরা।
যান্ত্রিকতার এই যুগে প্রকৃতি শুধুমাত্র উপভোগের বিষয় না। উপভোগের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে স্মৃতি ধরে রাখার প্রবণতা।তাই বিকেল হলেই দেখা যায় তরুণ-তরুণীরা বাহারি রঙের শাড়ী-পাঞ্জাবিতে সেজে কাশফুলের সাথে ছবি তোলার দৃশ্য।ছুটির দিনে কিংবা অবসর বিকেলে পরিবার,পরিজন নিয়ে ভির জমাচ্ছে মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও বহিরাগত দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বেড়েছে।
মাঠের এক পাশে বাতাসে দুল খাচ্ছে শুভ্র কাশফুল আরেক পাশে ফুটবল,ক্রিকেট খেলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য নজর কেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তাদেরও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মার্জিয়া আক্তার বলেন,”ব্যস্ত পড়াশোনার ফাঁকে যখন এই শুভ্র ফুলগুলোর দিকে তাকাই, মনে হয় প্রকৃতির সঙ্গে নতুন করে সংযোগ ঘটছে।বন্ধুদের সঙ্গে এখানে এসে ছবি তোলা, কাশফুলের মধ্যে হাঁটা—সবকিছুতেই আলাদা এক শান্তি আছে।প্রকৃতির এই রূপ আমাদের পড়াশোনার চাপকে কিছুটা হলেও ভুলিয়ে রাখে।”
Posted ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com