যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় ২দিনের নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদ ন জমা পড়েছে। অভিযোগকারি তদন্ত বোর্ডে না আসায় গত বুধবার(২৫সেপ্টেম্বর) আংশিক প্রতিবেদন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে কমিটির প্রধান সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস জাহাঙ্গীর জমা দিয়েছেন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আফম বজলুর রশিদ টুলু। ডাক্তার আফম বজলুর রশিদ টুলু জানিয়েছেন,তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাক্তার আফসার আলী শিশুকে ভোরে ঢাকায় রেফার করেন।
কিন্তু পরিবারের সদস্যরা শিশুকে দেরিতে হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার জন্য জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে নিলে শিশু রোগীর মৃত্যু হয়। এখানে চিকিৎসক বা চিকিৎসার কোন অবহেলা পাওয়া যায়নি। পরে শিশুটির মা ও বাবার লিখিত তদন্ত কমিটি গ্রহণ করেন।
কিন্তু মুল অভিযোগকারী তদন্ত বোর্ডে না আসায় এবং অভিযোগের নিচে তার দেওয়া মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তদন্ত কমিটি তার বক্তব্য গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি সুপারিশ হিসাবে উল্লেখ করেছেন আগামীতে শিশু ওয়ার্ডে সেবার মান বাড়াতে হবে।
এছাড়াও ১২টি সুপারিশ করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ১দিনের নবজাতক শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা অবহেলায় মারা যায়।
পরে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ডাক্তার আফসার আলী মৃত নবজাতক শিশুকে মৃত্যুর ২ঘণ্টা পরে ভিন্নখাতে খুলনায় রেফার্ড করেন। তবে চিকিৎসকের রেফার্ড কৌশল বেশি সময় গোপন থাকেনি। এটা ফাঁস হওযার পর মৃতের স্বজনরা হট্টগোল শুরু করেন।পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরে যশোর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস জাহাঙ্গীরকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারী না আসার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে একটু দেরি হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের একটি মহল অভিযোগ করেছেন, শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাক্তার আফসার আলী বাচাতে তদন্ত কামিটি অভিগোকারীদের সাথে নিকোজিশন করেছেন।