
ইবি প্রতিনিধি: | শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 48 বার পঠিত
ফিলিস্তিন জনগণের ওপর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার পর বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধবিরতি উপেক্ষাকরে গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই হামলার পরেও জাতিসংঘ ও বিশ্বের মুসলিমদেশ সমূহের সংগঠন ওআইসি’র নিষ্ক্রিয়তা কাম্য নয় বলে জানান তারা।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসাইন রাহাত বলেন, “আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে দাড়িয়েছি যখন আমরা শান্তিতে বাঁচতে পারলেও গাজাবাসীরা প্রতি মূহুর্তে ভয়ে থাকে এই বুঝি ইসরায়েলের মিসাইল জীবন শেষ করে দেয়। আজকে আমাদের এক হতে হবে, আজকে আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা রক্ত গঙ্গা হয়ে যাবে সেখানে আমরা বসে থাকতে পারি না। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে বলেছিল আমরা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের পরামর্শে ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে। ওআইসি গঠিত হয়েছিল মুসলিম বিশ্বকে সংগঠিত করতে কিন্তু তারা আজও নিশ্চুপ। আমরা বলতে চাই, জানতে চাই এই বিশ্ব মুসলিমের আর কতো রক্ত ঝরলে আপনারা জাগ্রত হবেন? আজকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে চাই আমরা রক্ত দিতে হলেও রক্ত দিতে প্রস্তুত।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “আল্লাহ মাত্র ১০ টা অস্ত্র দিয়ে ওহুদ যুদ্ধে বিজয় দিয়েছিলেন তেমনি ফিলিস্তিনও একদিন বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান পাবে। আমেরিকা স্বীকার করেছে তাদের পরামর্শে সেখানে হামলা হচ্ছে। তারা সেখানে অবকাশযাপন কেন্দ্র করতে চাই। সারাবিশ্বে আমাদের এমনভাবে জেগে উঠতে হবে যেন ইসরায়েল ফিলিস্তিনবাসীদের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য হয়। ইয়া আল্লাহ ফিলিস্তিন বাসীর জন্য জীবন দিতে হলেও আমাদের সেই শক্তি দাও।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “ফিলিস্তিন সংকট একদিনের সমস্যা না, এটা বহুদিনের সংকট। না জাতিসংঘ না মানবাধিকার সংস্থা কেউ ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে এগিয়ে আসেনি। ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা আর আমাদের দেশে আওয়ামী লীগের সমর্থন দিতো ভারত। আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে না পারলেও আওয়ামী পুনর্বাসন ঠেকিয়ে দিতে পারি। যদি আওয়ামীকে পুনর্বাসন করা হয় তাহলে সেটা হবে জুলাই বিল্পবের শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানি। আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন মহল ইনক্লুসিভ নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চেষ্টা করছে।আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই আমরা সেটা হতে দিতে পারি না। ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার এবং পতিত সরকার একই সূত্রে গাঁথা। কারণ তারা নিরীহ মানুষ হত্যা করতে কুন্ঠাবোধ করে না।”
উল্লেখ্য এসময় ফিলিস্তিনের নিরাপদ মানুষের মুক্তি এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
Posted ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com