শুক্রবার ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

❝এটা কিন্তু শ্যামগঞ্জ অস্ত্রের ভান্ডার, বেশী করলে ফুডাইয়ালামু❞

আসাদুজ্জামান তালুকদার :   |   রবিবার, ০১ জুন ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   4206 বার পঠিত

❝এটা কিন্তু শ্যামগঞ্জ অস্ত্রের ভান্ডার, বেশী করলে ফুডাইয়ালামু❞

জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে গত কয়েকদিন যাবত চলছে চাল বিতরণ। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১ জুন) বেলা ১১ টা নাগাদ সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, কেউ একাধিক কার্ড দিয়ে কয়েকবার চাল নিচ্ছেন আবার কেউ কার্ড না পেয়ে ইউপি সদস্যদের পিছনে ছুটছেন।

যাদেরকে চাল দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৮ কেজি ৮ শত গ্রাম কাউকে ৯ কেজি আবার কাউকে ৯ কেজি ৫ শত গ্রাম করে দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে পরিষদের প্রশাসক ও সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে দিচ্ছি, একটু এদিক সেদিক হলে কিই বা করার আছে। তবে, আমি চেষ্টা করছি সঠিকভাবে বিতরণ করার। কেউ কম পেলে তাদেরকে নিয়ে আসেন আমরা আবার পরিমাণ মতো দিবো।

অন্যদিকে বেলা ২ টা নাগাদ পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, জেলার ভিজিএফ চাল বিতরণের সবচেয়ে করুণ দশা। কার্ডধারীদের সাড়ে ৭ কেজি থেকে ৮ কেজি সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে উপস্থিত একজন হাতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে চাল বিতরণে কোন অনিয়ম নেই বলে জানান। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে উর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। এছাড়াও তিনি নিজেকে পূর্বধলা আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী বলে পরিচয় দেন। অবশ্য এসময় চাল কম পাওয়া কার্ডধারীরা সে ব্যক্তিকে ❝ফটকা বাটপার❞ বলে চিৎকার করছিলেন। এসময় কার্ডধারীদের অনেকেই তাকে চাল চোর ফটকা বাটপার বলে সুউচ্চ স্বরে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।

আরেকটা পক্ষ চাল বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করে হৈচৈ শুরু করেন, এমনকি ফুটেজ নিতে সাংবাদিকদের বাঁধা দেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে একজন বলে উঠেন, ❝এটা কিন্তু শ্যামগঞ্জ অস্ত্রের ভান্ডার। বেশী করলে ফুডাইয়ালামু। থানা লুইট্টালাইছি, কেউ কিছু আমরার কিছু ছিঁড়তে পারে নাই❞

ভীড়ের মাঝে সে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়নি।একপর্যায়ে এবিষয়ে স্বাক্ষাতকার নিতে চাইলে অজ্ঞাত সেই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে গোহালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আরে ও একটা ফটকা কি ডিপি না সিপি কোন দল থেকে একবার প্রার্থী হইছিল, সেই গপ্পো বেঁচেই ভাত খায়। কয়ডা চালের জন্য সারাদিন মাইক নিয়া বকবক করতেছে দেখেন না। গোষ্ঠীর মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আছে তার নাম বেঁচেই চাঁদাবাজি করে সারাবছর। আমার লোকজন দিয়ে পাহাড়া রাখছি, অনিয়মের সুযোগ নাই। আমি একটু সাইডে গেছিলাম এই ফাঁকে হয়তো একটু আধটু উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে, বাদ দেন।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, চাল কম দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। তিনি এও জানান যে, চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগগুল তিনি খতিয়ে দেখছেন।

 

Facebook Comments Box

Posted ১:০২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com