
আলমগীর হোসেন, ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ | রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট | 194 বার পঠিত
নীলফামারীর ডোমার জনতা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ডাক্তারের অবহেলায় ববি আক্তার(২৮) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে নবজাতক শিশুটি সুস্থ রয়েছে। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বামী নুর আলম ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এমামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রসূতি ববি আক্তার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগা পাড়া এলাকার মোঃ নুর আলমের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শায়লা সাঈদ তন্বী পরিদর্শন এসে ডাক্তারের অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা করেন।
মামলার অভিযোগে জানাযায়, গত ১৪ জুন বিকালে ববি আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ডোমারের জনতা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। সেখানে গাইনী ডাক্তার রিজওয়ানা ইয়াসমিনকে দেখালে তিনি কিছু পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তার রিজওয়ানা বলেন, রোগীর পেটে পানি না থাকায় তাকে সিজার করাতে হবে। তখন ববি আক্তারকে সিজার করার জন্য জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিজার করা হলে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সিজারের সময় ডাক্তার রিজওয়ানা, ডাক্তার নিহার রঞ্জন ও ওটি বয় বিপুল সরকার উপস্তিত ছিলেন। সিজারের পর রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলেও ডাক্তার রিজওয়ানা কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় রুগীর রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে। এক পর্যায় রুগীর শারীরিক অবনতি হলে পরিবারের লোকজন রুগীকে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান জরুরী বিভাগের ডাক্তার ভোরে ববি আক্তারকে মৃত ঘোষনা করেন।
এর আগে রাতে ডাক্তারের অবহেলার কারনে রুগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হবার খবর ছড়িয়ে পরলে রুগীর স্বজনরা ক্লিনিকে এসে ডাক্তারের বিচার দাবী করেন। এ সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না হওয়ায় এক সময় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এ ঘটনায় রোববার সকালে ডাঃ নাজমুস সাকিব , সেবিকা মোছাঃ সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
খবর পেয় রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা সাঈদ তন্বী, উপজেলা স্বাস্থ্য প:প: কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন।
উপজেলা স্বাস্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী বলন, এখনও লিখিত কোন অভিযোগ না পেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জনতা ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Posted ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com