শুক্রবার ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভাঙচে ব্রহ্মপুত্র, কাঁদছে অসহায় মানুষ

আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ   |   রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   1276 বার পঠিত

ভাঙচে ব্রহ্মপুত্র, কাঁদছে অসহায় মানুষ

ভাঙনের শিকার গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্রপাড়ের শতাধিক পরিবার। চোখের সামনে প্রিয় বসতভিটা হারিয়ে কাঁদছে নদী তীরের মানুষ।

ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া থেকে কটিয়ারভিটা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে বাড়ি-ঘর, গাছপালা ও আবাদী জমি।

সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে, উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি, কাবিলপুর গ্রামে। এছাড়াও ফুলছড়ি, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

উড়িয়া ইউনিয়নে হুমকির মুখে পড়েছে কটিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর উড়িয়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাড়িয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া কয়েকটি মসজিদ, মন্দির, কবরস্থানসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক অবকাঠামো।

ভাঙ্গনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়তে হয় ব্রহ্মপুত্রপাড়ের হাজারো পরিবারকে। চোখের সামনে নদী গিলে খায় নদীপাড়ের মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি ও স্থাপনা। ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতি বছর নিঃস্ব হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ। ফলে ফসলহানীসহ দিন দিন চরম অর্থ সংকটে পড়তে হচ্ছে ছিন্নমূল মানুষকে। নদীর কড়াল গ্রাস থেকে একবার দুইবার নয়, জীবনে ২০/২৫ বার বসতভিটা সরাতে হয়েছে। সারা বছরের উপার্জনের সঞ্চিত অর্থে নতুন করে বসতভিটা তৈরি করলেও তা এক বছরের মাথায় আবারো নদীর গর্ভে চলে যায়। প্রিয় বসতভিটা হারিয়ে কেউ কেউ জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলে কোনো রকম বসবাস করছেন। অনেকেই রাস্তার পাশে বা বাঁধের ধারে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এরপরও থামছেনা ভাঙ্গন, থামছেনা পৈত্রিক বসতভিটা হারানো অসহায় মানুষের কান্না।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে ভাঙনের তীব্রতা বেশি, কিন্তু সেখানে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার চেষ্টা করছি।

Facebook Comments Box

Posted ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com