
চট্টগ্রাম ( পটিয়া ) প্রতিনিধি | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 81 বার পঠিত
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর মেগা প্রকল্পে বেড়িবাঁধের ব্লক তৈরিতে নিম্নমানের বালি ও পাথর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ২০২১ সালের মে মাসে একনেক সভায় অনুমোদিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে “চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১১৫৮ কোটি টাকা এবং “শ্রীমাই খালে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক ইলেভেটর ড্র্যাম নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৩৩ কোটি টাকা সহ মোট প্রায় ১৩ শত কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বারবার কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য তাগিদ দিলেও ঠিকাদার ও পাউবো কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে লবণাক্ত বালি ও পাথর ব্যবহার করে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ব্লক তৈরির সময় পাউবো’র কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে কাউকে দেখা যায় নি ২৪ জানুয়ারি উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের বাইপাস পয়েন্টে সরেজমিন পরিদর্শন কালে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্লক তৈরির পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ১:২.৫:৫ মাত্রার ঢালাই টেন্ডারে থাকলেও বালি ও পাথরের পরিমাণ বেশি এবং সিমেন্টের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢালাইয়ের পর কমপক্ষে ২১ দিন ব্লক ভিজিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
রোদ বেশি হলে এই সময়কাল আরও বৃদ্ধি পায়, কিন্তু তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। সিডিউল অনুযায়ী বালির এফএম কমপক্ষে ১.৫ হওয়া উচিত, কিন্তু ব্যবহার করা হচ্ছে এফএম ১ থেকে .৮ সাইজের কাঁদাযুক্ত লবণাক্ত বালি। স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে দিয়ে বালি ও পাথর সরবরাহ করানোর কারণে ঠিকাদাররা যথেচ্ছাভাবে লুটপাট করছে। কাজের গুণগত মান একেবারেই নিশ্চিত করা হচ্ছে না। অপর এক বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে সিন্ডিকেটের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন প্রকৌশলী পরস্পর যোগসাজশে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। পটিয়া পাউবো’র প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, পাউবো’র প্রকল্প মানেই যেন দুর্নীতির মহোৎসব। বিগত বছরগুলোতে যারা লুটপাট করেছে, তাদের সহযোগীরাই এখনও একই কাজ করছে। পাউবো চট্টগ্রাম পওর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ জানান, তারা পাথর, বালি, সিমেন্ট ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা করেছেন এবং প্রকল্প সাইট ও তৈরিকৃত ব্লক সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকল্প পরিচালক খ.ম জুলফিকার তারেক বলেন, “আমার জানা মতে এরকম হওয়ার কথা না। যদি অনিয়ম দেখা যায়, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Posted ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com