শুক্রবার ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সুন্দরগঞ্জে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ   |   বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   151 বার পঠিত

সুন্দরগঞ্জে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

আইন শুধু খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ, তার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর কাপাসিয়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সরকারি অর্থের ব্যয় হলেও মিলছেনা কাঙ্খিত সফলতা। যেন দেখার কেউ নেই।

গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১টায় সরেজমিনে ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ৩ জন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিত পাওয়া গেলেও হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত। জানা যায়, প্রধান শিক্ষক সায়ফুর রহমান মণ্ডল নির্বাচন অফিসে চলে গেছেন।

খাতা কলমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৭২ জন। এ দিন হাজিরা খাতা অনুযায়ী দেখা যায় শিশু শ্রেণিতে ১৪ জনের মধ্যে উপস্থিত ১০ জন, প্রথম শ্রেণিতে ২০ জনের মধ্যে ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫ জনের মধ্যে ২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫ জনের মধ্যে ২ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৬ জনের মধ্যে ১ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জনের মধ্যে ১ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়। মজার বিষয় হচ্ছে, এ বিদ্যালয়ে ২ শিফট অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দুপুর ১২টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলার কথা। এর মধ্যে বিরতি থাকবে দুপুর ১টা হতে দেড়টা পর্যন্ত। অথচ দুপুর ১টায় বিদ্যালয়টিতে কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি না পাওয়া গেলেও এ সময় হাজিরা খাতায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাজিরা দেখানো হয়েছে। শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে সন্দেহ করা হয় বিদ্যালয়টি টিকিয়ে রাখার জন্য শুধু মাত্র খাতা-কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখানো হলেও বাস্তবে নেই।

বিদ্যালয়টির আশেপাশের লোকজন জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত আসেন না। যদিও আসেন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। এ ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সঠিক তদারকির অভাবে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। যেন দেখার কেউ নয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রধান শিক্ষক সায়ফুর রহমান মণ্ডল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমি ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে।

অপর দিকে, এদিন দুপুর আড়াইটায় সরেজমিনে চর কাপাসিয়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় কোন শিক্ষক শিক্ষার্থী নেই। বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলছে। স্থানীয়রা জানান, একটু আগে ছুটি দিয়ে সবাই চলে গেছে। বিদ্যালয়টি ২ শিফটের হলেও প্রতিদিন ২টার দিকে ছুটি দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এর কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, আমি বাইরের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বিদ্যালয়ে না থাকার সুবাদে সহকারী শিক্ষকরা তারাতাড়ি ছুটি দিয়েছে।

এ বিষয়ে এ দু’টি ক্লাসটারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র বর্মন জানান, নিউজ করেন আমি বিষয়টি দেখবো।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নবেজ উদ্দীন সরকার জানান, অনিয়ম পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১:১৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

bangladoinik.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com

এ বিভাগের আরও খবর

https://prothomalo.com
https://prothomalo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক
ফখরুল ইসলাম
সহসম্পাদক
মো: মাজহারুল ইসলাম
Address

2nd floor, Opposite building of Muradnagar Thana gate, Muradnagar-3540, Bangladesh

01941702035, 01917142520

bangladoinik@gmail.com

জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com