
মনিরুজ্জামান তুহিন , ইবি প্রতিনিধি | বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 12 বার পঠিত
ফিলিস্তিন জনগণের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধবিরতি উপেক্ষাকরে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালানোর তীব্র নিন্দা জানাই।এই হামলার পরেও জাতিসংঘ ও বিশ্বের মুসলিমদেশ সমূহের সংগঠন ওআইসি’র নিষ্ক্রিয়তা কাম্য নয় বলে জানান তারা। এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, “২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইল যে নৃশংস হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে বিশ্ব মানবাধিকার নামক সংস্থাগুলো নিশ্চুপ রয়েছে। মনে হচ্ছে এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুধু মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংস করতে বা ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য গঠিত হয়েছে। যখনই মুসলিম উম্মাহ এক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে তখন জাতিসংঘ নামক কুতন্ত্র, ইহুদিতন্ত্র সংস্থা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।” বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, “আজ নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। যে মুসলিম জাতি অপর মুসলিম ভাইকে রক্ষা করতে পারে না, সেই মুসলিম জাতি হিসেবে লজ্জিত বোধ করতেছি।” হাসানুল বান্না নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “৫৭ টি মুসলিম দেশ নিয়ে যে ওআইসি গঠিত হয়েছিল। আজকের ঘটনাগুলো দেখে সেই সংস্থার নামটা মুখে নিতে লজ্জা হচ্ছে। মুসলমানদের স্বার্থে গঠিত হলেও সেইভাবে ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। এটি সৌদি সরকারের ব্যর্থতা। ২০২৫ সালে এসে সম্প্রতি যুদ্ধ বিরতি নামক ধোঁকা ঘোষণা দিয়ে আবারও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালালো সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল।” ইবি শাখা সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “আমাদের বিভিন্ন ধরনের চলাফেরা বা মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রশ্নে বা যখন আমাদের ভাইয়ের ওপর আঘাত আসবে তখন বিশ্ব মুসলিম এমনভাবে শক্ত হাতে দাঁড়াতে হবে যেন প্রত্যেকটা মুসলিম ভাইদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। আমরা দেখেছি, অমুসলিম বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতিত হলে মুসলিম বিশ্ব তাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বা হত্যাযজ্ঞের সময় পুরো বিশ্ব চুপ হয়ে যায়।” উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়, যা গত দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
Posted ১:০৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com