কচুয়া উপজেলার বুধুন্ডা গ্রামে সম্পত্তিগত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তসত্ত্বা নারীসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এই ঘটনা বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বুধুন্ডা গ্রামের উত্তর পাড়া মোল্লা বাড়িতে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা হচ্ছেন, বুধুন্ডা গ্রামের ছন্দু মিয়ার ছেলে ইউসুফ, আরিফ, আরিফ হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, ছন্দু মিয়ার স্ত্রী জিলহজ¦ বেগম, মৃত কবির হোসেনের পুত্র রাব্বি, মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র ছন্দু মিয়া, নজির মোল্লার পুত্র আব্দুল কাইয়ুম, কামাল হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার, জামাল হোসেনের স্ত্রী কাজল বেগম, জামাল হোসেনের পুত্র আবু সাঈদ, নজরুল ইসলামের পুত্র মাসুদ রানা, আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার, নজরুল ইসলামের স্ত্রী জোবাইদা বেগম, মৃত আব্দুল হাইয়ের পুত্র আব্দুর রহমান ও আব্দুর রহমানের অন্তসত্ত্বা স্ত্রী মনি বেগম।
আহতরা বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইউসুফ, মনোয়ারা বেগম ও আব্দুল কাইয়ুমের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে হামলার শিকার মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে প্রতিপক্ষ মো. আইয়ুব আলী মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধুন্ডা গ্রামের অধিবাসী মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র নজরুল ইসলাম গংরা তাদের নিজ বাড়িতে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবৎ গাছ-গাছালী রোপন করে ভোগ-দখল করে আসছে। সম্প্রতি নজরুল ইসলামের দখলীয় জায়গায় সম্পত্তি পাবে দাবী করে বিভিন্নভাবে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন।
এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার দেন-দরবার হলেও প্রতিপক্ষ আইয়ুব আলী গংরা তা না মেনে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির পথ বেছেঁ নেয়। বুধবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে পাশ্ববর্তী সাচার এলাকা থেকে হাফিজ, কবির, তামিম, ইমন, সাব্বিরসহ বেশ কিছু উশৃঙ্খল লোকজন এনে নজরুল ইসলাম মোল্লার গৃহে জোড়পূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে তাকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে অন্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করে। এছাড়া মোঃ আইয়ুব আলী গংরা প্রভাব খাটিয়ে নজরুল ইসলাম গংদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সম্পত্তিগত এ বিরোধের ঘটনায় মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ আইয়ুব আলী গংদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে বেশ উত্তেজনা চলছে।