
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: | বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 44 বার পঠিত
আগামী ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৭টি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় ১ হাজার ৩২১ কেন্দ্রে ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সকাল ৮.০০ টা হতে বিকাল ৪.০০ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ কর্মসূচী চলবে। পরবর্তীতে বাদ পড়া শিশুকে অভিভাবকগণ ইপিআই কেন্দ্রে এনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসূল খাওয়াতে পারবেন।
এর মধ্যে ৬-১১ মাস শিশুকে ১ লক্ষ আই ইউ নীল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ২ লক্ষ আই.ইউ লাল রঙের ০১টি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত জাতীয় ক্যাম্পেইন ২০২৫ইং সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরন, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরন, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের সম্মানিত খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণা ।
মেয়র বলেন, আপনারা জানেন ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। জন্মের পরপর শিশুকে শালদুধ (১ ঘন্টার মধ্যে) খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর শুরু করুন। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণমতো সুষম খাবার খাওয়ান। মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রানিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) ও উদ্ভিজ খাবার (হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাক সবজি) খেতে দিন।
“গত ১লা জুন ২০২৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন’এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮৮,৫৯০, অর্জন ৮৭,৯৫৭, অর্জিত হার ৯৯%। ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ৪,৭১,৯৫০, অর্জন ৪,৬৮,৯৫৯, অর্জিত হার ৯৯.৭৮%।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সূমন তালুকদার ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার ডাঃ শর্মীলা রায় ডাঃ মামুন রশিদ।
Posted ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com