গত ১৯-০৫-২০২৪ইং রোজ: রবিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর থেকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এরশাদ খাঁন (৪০) কে আটক করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। আসামী এরশাদ মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রীরর বোনের বাড়ি থেকে আটক করে। তার নিজ বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ছোটশালঘর গ্রামের মৃতঃ আঃ সালাম মিয়ার ছেলে । এরশাদ পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। ধর্ষনকারি বিরুদ্ধে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১) ধারায় দেবিদ্বার থানার মামলা দায়ের করেন, থানার মামলা নাম্বার- ১৩/১০৪, তারিখ-১৯.০৫.২০২৪ খ্রিঃ।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী(১৩) বলেন, গত আট মাস আগে দেবিদ্বার উপজেলার ছোটশালঘর এলাকার সৈয়দপুর বাজারে কলা বিক্রি করতে যায় । তখন কিশোরীর কাছ থেকে কলা কিনতে আসে ধর্ষক এরশাদ। একপর্যায়ে কিশোরীর কাছে থাকা সব কলা কিনে নেয় সে। কলার টাকা চাওয়ার পর ধর্ষক এরশাদ বলে তার পকেটে টাকা না থাকায়, কলার দাম আনতে তার নিজ মালিকানাধীন ডেকোরেটর দোকানে নিয়ে যায়। দোকানে যাওয়ার পর জোরপূর্বক নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে এ ঘটনা কাউকে বললে ধর্ষক ঐ কিশোরীর কে হত্যা করারও হুমকি দেয়। ভিক্টিম কিশোরী ওই ঘটনা ভয়ে মা-বাবাসহ কাউকে জানায়নি। ঘটনার কয়েক মাস পর ভিক্টিমের শারিরীক অবস্থার পরিবর্তনে সন্দেহ হলে তাকে গত ২৬ এপ্রিল দেবিদ্বার টাওয়ার হসপিটালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর রিপোর্ট হাতে পেলে চিকিৎসক জানান যে সে গর্ববতী। বিষয়টি নিয়ে ধর্ষক এরশাদের সাথে পারিবারিকভাবে কথা বলার পর এরশাদ তাদের বিষয়টি গোপন রাখতে বলে এবং যদি এই বিষয়টি নিয়ে আইন আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে পুরো পরিবারকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
কিশোরীর পরিবার সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হয় এবং ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে কিশোরীর বড় ভাই বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি মোঃ নয়ন মিয়া জানান, কিশোরী ধর্ষণের অভিযুক্ত একমাত্র আসামী এরশাদ খাঁনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
