মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর কুলাউড়া সড়কের উসমানগর পতনউষার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড চক্কবিরাজি গ্রামে। ২০০৭ সালে জরুরি সেনাবাহিনী সরকারের আমলে ডাকাতি পতিতা ও মাদক পাচারের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে আজিদ,বাজিদ,দুই ভাই সহ তাদের চাচাত ভাই কদর আলি কে আটক করে সেনা বাহিনী। সে সময়ে এলাকা বাসির সহযোগিতায় সেনা সদস্যরা তাদের গড়ে তোলা পতিতালয় ও মাদকের আখড়া গুড়িয়ে দিয়ে তাদের তিন জন কে আদালত কর্তৃক ১৪ বছর করে সাজাপাপ্ত হলে এলাকায় সাত আট বছর শান্তি বিরাজ করে। পরে আইনের (ফাঁক ফুকোরে) ১৪ সালে জামিনে আজিদ, এবং তার ভাই বাজিদ আলি জেল থেকে বেরিয়ে এসে। আখাউড়া -সিলেট রেলওয়ের ৩ একর জমি ভুয়া দলিল রেজিস্ট্রি দেখিয়ে দখলের মাধ্যমে আবারো সেই আগের মতো এই অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় বীর দর্পে। স্থানীদের অভিযোগ সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, নেতা ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে আজিদ বাজিদ ও তাদের বোন আসমা এই তিন জন মিলে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অবৈধ দেহ ব্যবসা আর মাদকের আখড়া গড়ে তুলেছে তাদের বাড়িতে। দিনে রাতে এ ধরনের কাজ চালিয়ে গেলেও এদের ভয়ে পরিবার পরিজনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান যারা এদের বিষয়ে প্রতিবাদ করতে যায় তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয়।
এছাড়াও তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ফায়দা হাসিল কারী তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হেনেস্থা করা হয়েছে এলাকার অনেক পরিবার কে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় রাস্তার পাশে আজিদ বাজিদ, ও তাদের বোন আসমা বেগম এই তিন জনের একটি নামকাওয়াস্তে মুদি দোকান রয়েছে। এছাড়াও চার থেকে পাঁচ জন পতিতা রয়েছে তাদের এখানে। তারা খদ্দেকের আশায় সেই দোকান ও দোকানের বারান্দায় শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখা যাচ্ছে এমন পোশাক পড়ে ঘুরাঘুরি করছে। সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজন এমন দৃশ্য দেখে কেউ কেউ খারাপ মন্তব্য করে এতে করে সম্মানহানি হচ্ছে স্থানীয় এলাকার। এমনকি এ এলাকায় কেউ ছেলে এবং মেয়ে বিয়ে করাতে আসতে চায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে লোকজনের। তাদের এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাবার কারনে। দীর্ঘদিন ধরে প্রায় প্রকাশই এমন অবৈধ অনৈতিক কর্মকান্ড চলায় বর্তমানে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভিডিও সহ ভাইরাল হলে উপজেলা জুড়ে এর নিন্দার জোড় উঠেছে। পরিচয় গোপন রেখে মুঠোফোনে আজিদের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে সে জানায় স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে ২৫ বছর বয়সী, ঢাকা কুমিল্লা চট্টগ্রাম ও হবিগঞ্জ এলাকা থেকে পতিতারা আসেন তার এখানে। পদক্ষদর্শী বর্ণনায় আরোও জানাযায় আজিদ এবং তার বোন আসমা ইশারা ইঙ্গিতে পতিতারাদের দেখিয়ে দোকানের ভিতর দিয়েই খদ্দেক দের নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির ভিতরে নির্জন স্থানে পতিতাদের জন্য নির্মিত টিনশেটের দুই টি রোমের একটিতে।সেখানে যাবার পর আরেক দফায় খদ্দেকদের কে দিতে হয় নির্ধারিত টাকার চাইতে তিন গুণ বশি টাকা। এমনকি পতিতারা কাউকে অর্ধউলঙ্গ করে ছবি তুলে,কাউকে উলঙ্গ অবস্থায় ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণা করে সেই ছবি ও ভিডিও অনলাইন ও ফেইসবুকে দিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় খদ্দেকদের কাছ থেকে। এমন কি সাথে থাকা দামি মোবাইল ফোনও দিতে হচ্ছে এখানে আসা অনেক খদ্দেক’কে।
মান ইজ্জতের ভয়ে কথা না বলে মুখ থুবড়ে বেরিয়ে যান অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শমসের নগর পুলিশ ফাঁড়ির কিছু কর্মকর্তাদের আসা যাওয়া রয়েছে এ বাড়িতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ এলাকায় একাধিক বাসিন্দা জানান, পুলিশ ফাঁড়ির কিছু কর্মকর্তাদের মেনেজ ও মাসহারা দিয়েই আসমা, আজিদ এবং বাজিদ তার বাড়ি’কে যৌন পল্লী ও মাদক বিক্রি করে প্রতি দিন হাজারও লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছে। এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো বলেন, ডাকাতি আর মামলার ভয়ে আমরা কিছুই করতে পারছি না। তাদের অনৈতিক কাজ আর মাদকের নেশায় আজ আমাদের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে আজিদ আলীর সাথে কথা বললে সে, করকষ ভাষায় বলে নিউজ করে কোন লাভ হবে না, আমরা নিয়মিত মাসহারা দিয়ে চলি,আমি পুলিশ, পুলিশ আবার কে, তবে পতিতা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে সে জড়িত নয় বলেও দাবী তার। স্থানীয় চেয়ারম্যান অলি আহমেদ খানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। ইউপি সদস্য সিরাজ খানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি কথা বললেও পরে রহস্যজনক কারণে কথা না বলে ফোন কেটে দেন। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই, তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি