
মোঃ সিরাজুল মনির ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম । | বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 125 বার পঠিত
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা, সমাজের হীন মন মানসিকতা জনজীবনকে হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছে। এক শ্রেণীর মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ে তুলতে সর্বদা নিম্ন শ্রেণীর সাধারণ মানুষের উপর কঠিন পাথর নিক্ষেপ করে চলেছে। ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে মানবিকতা। লোক দেখানো সব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তেছে সমাজের প্রচুর শ্রেণীতে বসবাস করা লোভি শ্রেণীর কিছু মানুষ ।
দেশের তিন ভাগ জনসাধারণের মধ্যে দুই ভাগ লোক খেটে খাওয়া শ্রেণীতে পরে যারা সারাদিন পরিশ্রম করে ৫০০/৬০০ টাকা ইনকাম করে পুরো পরিবার চালাই। এদের অধিকাংশ পরিবারে ৫ থেকে ৬ জন সদস্য রয়েছে এতে সংসারের সকল চাহিদা পূরণ করতে অনেকেই সক্ষম হন না। একটি পণ্য আনতে গিয়ে আরেকটি পণ্য আনতে না পারার পরিবার অনেক রয়েছে । তারপরেও পরিবার চালাতে অনেক পরিবারে গৃহকর্তা লোন করে হলেও পরিবারের সদস্যের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে কিন্তু অতিরিক্ত লোনের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক পরিবারের গৃহকর্তা আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতেও দেখা গেছে। সাধারণত নিম্ম শ্রেণীর পরিবারগুলোতে নিরব দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে যা নিরবে সয়ে যাচ্ছে এরা। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর চাহিদা অনুযায়ী খরচ বহন করতে না পারায় নীরবে কেঁদে যাচ্ছে। অথচ এদের নিয়ে একটা রাষ্ট্র পরিচালিত হয় ।
রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনার কারণে নিত্য পণ্যগুলো এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীগণ তাদের ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রায় প্রতিদিন যার কোন সুরাহা রাষ্ট্র দিতে পারতেছে না । অনৈতিকভাবে বাড়তি মূল্য আদায়ের অসাধু ব্যবসায়ীদের ক্ষমতা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে । সরকারিভাবে লাভ সহ প্রায় সকল পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন দাম ভাটিয়ে নিচ্ছে জনসাধারণেের কাছ থেকে । এসব অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানা এবং কারাদণ্ড দিয়েও থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না । সাধারণ মানুষ এটার সুষ্ঠু কোন সমাধান খুজে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিমত অসাধ ব্যবসায়ীদের শাস্তি প্রতিনিয়ত থাকলে এক সময় একটা নিয়মে চলে আসতে পারে । অনেক সময় দেখা যায় রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ লোকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেয়াতে তারা উপযুক্ত শাস্তি পায় না । উপযুক্ত শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করলে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বলে ধারণা করা হয় । কিন্তু কে শুনে কার কাহিনী । রাষ্ট্রের উচ্চ বিচার ব্যবস্থাপনা এবং শুধু চিকিৎসা এখন উচ্চবিত্তদের হাতে চলে গেছে তাই বিচারের বাণী সব সময় নিবৃত্তেই কাঁদে ।
জনপ্রতিনিধিরা এক ধরনের ওয়াদা করে ক্ষমতার মসনদে বসলেও তারা তাদের ওয়াদা সঠিকভাবে পালন করে না তাই সাধারণ মানুষ আর তাদেরকে বিশ্বাস করতে চাই না এই সুযোগটাই কাজে লাগাই অবৈধ মুনাফা লোভিরা। সাধারণ মানুষের চাহিদা নিত্য পণ্যের বাজার লাগানোর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্রের মসনদে বসে থাকা দায়িত্বশীলদের কঠিন ভূমিকায় যথেষ্ট ।
রাষ্ট্রে বসবাসকারী জনগণ সব সময় চাই তাদের ইনকামের ভেতরেই চাহিদাগুলো সব সময় পূরণ হোক। দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি থাকবেই কিন্তু তা সহনশীল পর্যায়ে রাখা এবং নিয়ে আসা এটা রাষ্ট্রীয় নিয়মিত কাজের মধ্যে পড়ে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কিছু জরিমানা এবং কিছু কারাদণ্ড দিলেই এদের কাজ শেষ হয়ে যায় না এসব স্বাস্থ্যের বিধান ধারাবাহিকভাবে করে গেলে তারপরে আসলসফল আসবে বলে মনে হয়।
Posted ৩:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
bangladoinik.com | Belal Hossain
জে এস ফুজিয়ামা ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিষ্ঠান। ভ্রাতৃপ্রতিম নিউজ - newss24.com